• ঢাকা
  • সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ জ্বিলকদ ১৪৪৬

পেটে পানি কেন জমে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
পেটে পানি কেন জমে
ছবি: সংগৃহীত

পেটের উদর গহ্বরে যেকোন কারণে তরল জমে যায়। তখন তাকে অ্যাসাইটিস বলে। বিভিন্ন রোগের কারণে পেটে পানি জমে। সাধারণত যাদের লিভারের সিরোসিস রয়েছে তাদের মধ্যে এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়। এছাড়াও পেটে পানি জমার আরও কিছু কারণ রয়েছে। যেমন_পেটের ক্যান্সার, হার্ট ফেইলিউর, পেটের যক্ষা কিংবা অন্যান্য রোগের কারণেও পেটে পানি জমতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশের প্রেক্ষাপটে পেটে পানি আসার মূল বিষয়ের মধ্যে রয়েছে লিভারের রোগ। যাকে বলা হয় লিভার সিরোসিস। এছাড়াও টিবি বা যক্ষ্মা রোগ খুব প্রচলিত এদেশে। যক্ষ্মা শুধুমাত্র ফুসফুসেই হয় না। এটি শরীরের যেকোনো অংশেই হতে পারে। যক্ষ্মা যখন পেটে হয়, তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি নির্ণয় করা কঠিন হয়ে যায়। যক্ষ্মার কারণে পেটে পানি চলে আসে। তখন পরিস্থিতি জটিল হয়ে দাড়ায়।

এছাড়াও লিভার সিরোসিসে পেটে পানি এবং পায়ে পানি আসার বিষয়টিও জটিল। সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে হয়। এতে রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, কিছু লক্ষণে পেটে পানি আসার বিষয়টি বোঝা যাবে। পেট ভার ভার লাগা, অস্বস্তি লাগা, পেট ফুলে যাওয়া, শুতে বসতে অসুবিধা লাগা, পেট পুরে খেতে না পারা, শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া কিংবা প্রস্রাব না হওয়া এবং পা ফুলে যাওয়া। এসব লক্ষণ থাকলেই বুঝতে হবে পেটে পানি চলে আসছে এবং দ্রুত চিকিত্সা নিতে হবে।

এদিকে লিভারের কারণে পেটে পানি আসতে পারে। তাহলে শরীরের মাংসপেশি ক্ষয় হয়ে যায়। মুখ শুকিয়ে যায়, পেটটা বড় হয়ে যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে অনেক সময় মেয়েদের মতো ব্রেস্ট বড় হয়ে যায়। শরীরের ভেতরে চুল যেগুলো থাকে তা পড়ে যেতে পারে। জন্ডিস হয়।। শরীরে লাল লাল দাগের মতো হতে পারে। পাশাপাশি সেকেন্ডারি সেক্সুয়াল বৈশিষ্ট্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পেটের পানি বা অ্যাসাইটিসের উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এরজন্য় প্রথমেই পেটে পানি আসার কারণ নির্ণয় করা জরুরি। খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। খাবার খাওয়ার সময় কাচা লবণ এবং লবণ মিশ্রিত কোনো খাবার একেবারেই নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রতিদিন ১ লিটার পরিমাণ পানি খেতে হবে। এর বেশি পানি খাওয়া যাবে না। প্রতিদিন ৪-৬ টি ডিম খাওয়া যেতে পারে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাশরুম, স্পিরুলিনা বেশি খেতে হবে। এছাড়াও অ্যালবুমিনের ঘাটতি থাকলে তা পূরণে অ্যালবুমিন ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে।  

Link copied!