মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ৫ আগস্টের পর থেকে টানা ৩ মাস সিঙ্গাইরে ভাইয়ের বাড়িতেই ছিলেন। এই ৩ মাসে এক দিনও তিনি ওই বাড়ির বাইরে বের হননি।
তার আপন ভাই এবারত হোসেন বলেন, “শিল্পী (মমতাজ) আপা ৫ আগস্টের পরের দিন থেকে টানা ৩ মাস সিঙ্গাইরের চরদুর্গাপুরে আমার বাড়িতেই আত্মগোপন করে ছিলেন। আমার স্ত্রী, সন্তান ছাড়া পাশের বাড়ির কেউও জানতে পারেনি আপার আত্মগোপনে থাকার তথ্য।”
এ সময় তিনি দলের নেতাকর্মীসহ সব শুভাকাঙ্ক্ষীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। কেউ প্রয়োজন হলে আমার মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, মমতাজের ভাই এবারতের বাড়িসহ আশপাশের এলাকা সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বাইরের কোনো আগন্তুক বাড়ির আঙিনায় ঢোকামাত্র তাদের বাড়িতে কেউ নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হতো। সিঙ্গাইরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়ে মমতাজ বেশ আয়েশিভাবে ভাইয়ের বাড়িতে ৩ মাস কাটিয়েছেন।
উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই পাইলট ঢাকার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে (এটিসি) জরুরি বার্তা পাঠিয়ে জানান, তিনি জরুরি অবতরণ করতে চান। বার্তা পাওয়ার পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি প্রস্তুতি নেওয়া হয়। রানওয়ের পাশে প্রস্তুত করে রাখা হয় ফায়ার সার্ভিসের দল।
এবারত হোসেন আরও জানান, শিল্পী (মমতাজ) আপার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নিপার মাধ্যমে নিপার নামেই ঢাকার ধানমন্ডিতে বাসা ভাড়া নেন। কোনো এক মধ্যরাতে গ্রামের বাড়ি থেকে বোরকা পরে বের হয়ে কাকপক্ষী জানার আগেই মাইক্রোবাসে সরাসরি ধানমন্ডির ভাড়া বাসায় ওঠেন। তিনি জানালেন গাড়ির গ্লাস ছিল কালো রঙের।
এবারত আরও জানান, নিপার স্বামী প্রবাসে থাকেন। মমতাজ আপার সব ধরনের দেখভাল নিপা আপাই করতেন। আর টাকার জোগান দিয়ে আসতেন মমতাজের পিএস জুয়েল।