• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ জ্বিলকদ, ১৪৪৪

যেভাবে আত্মগোপনে ছিলেন মমতাজ, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তৃতীয় স্বামী ও ভাই


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৫, ১১:৩৬ এএম
যেভাবে আত্মগোপনে ছিলেন মমতাজ, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তৃতীয় স্বামী ও ভাই
সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম। ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য (এমপি) সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন। এ সময় তিনি কোথায়, কিভাবে ছিলেন জানিয়েছেন তার ভাই ও তার তৃতীয় স্বামী।

বৃহস্পতিবার তার আপন ভাই এবারত হোসেন নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। সোমবার (১২ মে) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে মমতাজ বেগমকে গ্রেফতার করে। তিনি এখন ৪ দিনের পুলিশি রিমান্ডে আছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এবারত হোসেন জানান, শিল্পী মমতাজ আপা ৫ আগস্টের পরের দিন থেকে টানা ৩ মাস সিংগাইরের চরদুর্গাপুরে আমার বাড়িতেই আত্মগোপন করে ছিলেন। আমার স্ত্রী, সন্তান ছাড়া পাশের বাড়ির কেউও জানতে পারেনি আপার আত্মগোপনে থাকার তথ্য।

এ সময় তিনি দলের নেতাকর্মীসহ সব শুভাকাঙ্ক্ষীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। কেউ প্রয়োজন হলে আমার মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, মমতাজের ভাই এবারতের বাড়িসহ আশপাশের এলাকা সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বাইরের কোনো আগন্তুক বাড়ির আঙ্গিনায় ঢোকামাত্র তাদের বাড়িতে কেউ নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হতো। সিংগাইরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়ে মমতাজ বেশ আয়েশিভাবে ভাইয়ের বাড়িতে ৩ মাস কাটিয়েছেন।

এবারত হোসেন আরও জানান, শিল্পী (মমতাজ) আপার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নিপার মাধ্যমে নিপার নামেই ঢাকার ধানমন্ডিতে বাসা ভাড়া নেন। কোনো এক মধ্য রাতে গ্রামের বাড়ি থেকে বোরকা পরে বের হয়ে কাকপক্ষী জানার আগেই মাইক্রোবাসে সরাসরি ধানমন্ডির ভাড়া বাসায় ওঠেন। তিনি জানালেন গাড়ির গ্লাস ছিল কালো রংয়ের।

এবারত আরও জানান, নিপার স্বামী প্রবাসে থাকেন। মমতাজ আপার সব ধরনের দেখভাল নিপা আপাই করতেন। আর টাকার জোগান দিয়ে আসতেন মমতাজের পিএস জুয়েল।

এদিকে মমতাজের আত্মগোপনের বিষয়ে জানতে বুধবার তার তৃতীয় স্বামী ডা. মঈন হাসান চঞ্চলের মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদককে ফিরতি বার্তায় বিস্তারিত জানান।

তিনি আরও জানান, মমতাজ কিছুদিন সাবেক দ্বিতীয় স্বামী মানিকগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. রমজান আলীর মেয়ে রুনুর মোহাম্মদপুরের বাসায় আশ্রয়ে ছিলেন। এরপর তিনি নিপার ভাড়া করা বাসায় থাকতে শুরু করেন। তবে রমজানের ঘনিষ্ঠ স্বজন সানোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি এই তথ্য মিথ্যা দাবি করেন।

ডা. মঈন হাসান আরও জানান, মমতাজের নিজের নামে মহাখালীর ডিওএইচএসে পাঁচ তলা বাড়ি এখন মমতাজের পিএস কাম বয়ফ্রেন্ড জুয়েলের দখলে। এ ব্যাপারে জুয়েলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ডা. মঈন হাসান স্বীকার করেছেন যে, মমতাজ এমপি থাকাকালীন সময় এখন থেকে ৩ বছর আগে থেকে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই।

মমতাজের আত্মগোপনে থাকার প্রশ্নে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেওএম তৌফিক আজম জানান, তিনি এই থানায় ২ মাস হলো যোগদান করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।

Link copied!