ভারতের মণিপুর রাজ্যের চান্দেল জেলায় আসাম রাইফেলসের সদস্যদের গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্ব কমান্ড। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৪ মে) এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স ও বিবিসি।
সেনাবাহিনী দাবি, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যারা নিহত হয়েছেন তারা ‘উগ্রপন্থি’ ছিলেন। নিহতদের সম্পর্কে তাদের পরিবার বা আইনজীবীদের তরফে এখনো গণমাধ্যমে কিছু জানানো হয়নি।
সেনাবাহিনীর পূর্ব কমান্ড তাদের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে মণিপুরের চান্দেল জেলায় ওই ‘সশস্ত্র উগ্রপন্থিরা’ যাতায়াত করছে এরকম খবর গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া গিয়েছিল। আসাম রাইফেলসের একটি দল সেখানে অপারেশন শুরু করে। সন্দেহভাজন উগ্রপন্থিরা সেনা সদস্যদের ওপরে গুলি চালালে পাল্টা গুলি চালায় আসাম রাইফেলস। আর তাতেই ১০ জন উগ্রপন্থি নিহত হন।
অভিযান থেকে অস্ত্র ও গোলা-বারুদ উদ্ধার করা হয়েছে এবং অভিযান এখনো চলমান রয়েছে বলে জানানো হয়েছে সেনাবাহিনীর ওই পোস্টে।
মণিপুর রাজ্যের অস্থিরতা গত দুই বছর ধরে বেড়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষে অন্তত ২৬০ জন নিহত হয়। ওই সহিংসতার জেরে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয় এবং এখনো সেনা মোতায়েন রয়েছে। এই অস্থির পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে উগ্রবাদীরা মণিপুরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযোগ।