• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিশুরা ভুগছে ডায়াবেটিসে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২, ০৭:১৭ পিএম
শিশুরা ভুগছে ডায়াবেটিসে

ডায়াবেটিস এখন সাধারণ অসুখ। অধিকাংশ বাড়িতেই ডায়াবেটিসের রোগীরা রয়েছে। বয়স হলে ডায়াবেটিস হওয়া স্বাভাবিক।কিন্তু বড়দের পাশাপাশি এখন শিশুরাও ডায়াবেটিসের শিকার হচ্ছে। তাও টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, সন্তানের বয়স ১০ বছর পার হলেই প্রতি বছর একবার অন্তত  রক্তপরীক্ষা করে সুগার দেখে নেওয়া জরুরি।

 কোন শিশুদের ডায়াবেটিস হয়

বিশেষজ্ঞরা জানান, শিশুদের শরীরে ইনসুলিন ক্ষরণ কমে বা শূন্য হয়ে গেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। এই ধরনের ডায়াবেটিসকে টাইপ-১ বা জুভেনাইল ডায়াবিটিস বলা হয়। সন্তানের ওজন জন্মের সময়ে ৩.৫ কেজির বেশি থাকলে, গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবিটিস থাকলে, বাবা-মায়ের কারও সুগার বেশি থাকলে, বাচ্চা মোটা হলে, বাচ্চার ঘাড় ও বগলের কাছের ত্বকটা কালচে ও খসখসে হলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, ছোটদের টাইপ টু ডায়াবিটিসে ইনসুলিন ক্ষরণ না-কমলেও কোষস্তরে তা ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এই ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের জন্যই রক্তের শর্করা কোষস্তরে শোষিত হয় না, রক্তেই ঘোরাফেরা করে। এতে বেড়ে যায় ব্লাড সুগার।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, শিশুর স্থূলত্ব এবং জীবনশৈলির বিভিন্ন সমস্যাসহ অন্য কয়েকটি কারণে শিশুরা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। জন্মের সময় শিশুর ওজন ২.৫ কেজির কম হলে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোটা হয়ে গেলে তাদের ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ধরনের শিশুদের বেশি খাওয়ানো হয়। সেই খাবারে কার্বোহাইড্রেট-প্রোটিন-ফ্যাটের ভারসাম্য থাকে না। বরং কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। মাছ-মাংস-ডিম কিংবা ফল ও শাকসবজি কম খায়। এর কারণে শিশুদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।

শিশু বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, মাতৃদুগ্ধের বাইরে শিশুকে যে দুধ খাওয়ানো হয়, তাতে চিনি দিয়ে বাচ্চার ‍‍`সুগার টিথ‍‍` তৈরি করে দেওয়া হয়। ফলে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার প্রবণতা থাকে শিশুর মধ্যে। এটাই ওবেসিটির জন্ম দেয়। তখনই ডায়াবেটিস হতে পারে।

শিশুদের ডায়াবিটিস প্রতিরোধ যেভাবে করবেন

ছোটবেলা থেকে গরু বা ছাগলের দুধ খেলে চিনি ছাড়া খেতে হবে। অতিরিক্ত ভাত-রুটি-মিষ্টি খাওয়া যাবে না। এর বদলে ডাল-মাছ-মাংস-ডিম-শাকসবজি খেতে হবে। দিনে অন্তত একঘণ্টা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে। খেলাধুলো করা যেতে পারে। জাঙ্ক ফুড ও চকলেট কম খেতে হবে। পাস্তা-নুডুলস খেলে সবজি, ডিম, মাংস, প্রন দিয়ে খেতে হবে। ১০ বছরের পর থেকে মোটা বাচ্চাদের রক্ত পরীক্ষা করতে হবে অন্তত বছরে ১ বার।

Link copied!