শরীরের প্রতিটি অংশেরই নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন। মুখের ত্বক থেকে শুরু করে মাথার চুল হাত পা সবকিছুরই পরিচর্যা করতে হয়। পরিচর্যা থেকে বাদ যায় না ঠোটও। গরমকালেও অনেকের ঠোট ফাটে। শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে যায়। তাই নিয়মিত যত্ন করলে এমন হাল থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
সাধারণত যারা লিপস্টিক বেশি ব্যবহার করেন তাদেরই ঠোট শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়। বিশেষ করে নিম্নমানের লিপস্টিক লাগালেই এমন সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এছাড়াও অনেকে দামি ম্যাট লিপস্টিক লাগান। তাদেরও ঠোট শুষ্ক হওয়া বা ফেটে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় তো ঠোঁট ফেটে ব্যথা রক্তও বের হয়।
যারা প্রতিনিয়ত লিপস্টিক ব্যবহার করেন তাদেরই এই সমস্যা বেশি হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ লিপস্টিকে মোম, তেল এবং বিভিন্ন রকম পিগমেন্ট মেশানো থাকে। ম্যাট লিপস্টিকে মোম ও রঙের পরিমাণ বেশি থাকে। এতে তেলের পরিমাণ কম থাকে। যেন তা দীর্ঘস্থায়ী হয়। আর তেলের পরিমাণ কম থাকায় এসব লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁট রুক্ষ হয়ে যায়। তাই যাদের ম্যাট লিপস্টিক বেশি প্রিয় তাদের ঠোটের যত্ন একটু বেশিই নিতে হবে।
- লিপস্টিক লাগানোর আগে চিনি, মধু ও কফি একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোটের ওপর ঘষে নিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। লিপ বাম লাগান। লিপ বাম লাগালে ঠোঁটের ত্বক আর্দ্র থাকে। এরপর লিপস্টিক ব্যবহার করুন। এতে ঠোঁট মশ্চারাইজ থাকবে
- যেকোনো লিপস্টিক ব্যবহারের আগেই ঠোঁটে লিপ প্রাইমার লাগিয়ে নিন। এতে লিপস্টিক দীর্ঘস্থায়ী হবে। লিপস্টিকের রঙও ফুটে উঠবে। ঠোঁট ফাটবেও না।
- ঠোঁটের নিয়মিত যত্ন নিতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ঠোটের যত্ন নিন। ঠোট খুবই নরম থাকে। তাই এতে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। ঘুমের আগে ঠোঁটে নারকেল তেল লাগিয়ে নিন। ঠোঁট মোলায়েম থাকবে।
- ঠোঁটের যত্নে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার স্ক্রাব করুন। একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো, এক চামচ মধুর সঙ্গে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে তরলটি মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি ঠোঁটে ঘষে নিন। তিন মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঠোটের রুক্ষতা কমে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :