• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীরে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে বদলাতে হবে যেসব অভ্যাস


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ১২:০১ এএম
শরীরে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে বদলাতে হবে যেসব অভ্যাস

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কিছু রোগ বাসা বাধে। বলা যায়, কিছু রোগ নিত্যসঙ্গীর মতো সঙ্গে ঘুড়ে বেড়ায়। এরমধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাড় ক্ষয়ের মতো আর্থ্রাইটিসের সমস্যা তো রয়েছেই। এছাড়াও বয়স হলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। যা স্বাভাবিক জীবনযাপনকে স্তব্ধ করে দেয়।

মূত্রের মধ্যে বিভিন্ন যৌগ থাকে। যার মধ্যে একটি হচ্ছে ইউরিক অ্যাসিড। ব্যক্তির খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ ও বিপাকহার কেমন তার উপর নির্ভর করে ইউরিক এসিডের পরিমাণ কতটুকু। রক্তে ইউরিস অ্যাসিড বেড়ে গেলে তা বড় রোগে পরিণত হয় বলে সতর্ক করেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে এবং ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ম করে খাওয়া দাওয়া এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হয়। তাই যাদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতিদিনের অভ্যাস পাল্টে নিতে হবে এবং নিয়মমাফিক জীবনযাত্রা শুরু করতে হবে। যা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে যে অভ্যাসগুলোতে পরিবর্তন আনতে হবে_

  • প্রথমেই প্রতিদিনের ডায়েট পাল্টে নিতে হবে। কম পিউরিনের মাত্রাযুক্ত খাবার তালিকায় রাখতে হবে। পিউরিন যৌগ রক্তে মিশে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে লো ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার, সবুজ শাকসবজি, ফল, ভেষজ চা খাদ্যতালিকায় রাখা যায়।
  • খাদ্যতালিকা থেকে রেডমিট, সামুদ্রিক মাছ খাওয়া বাদ দিতে হবে। মাছ, মুরগির মাংস বা ডিম খাওয়া যেতে পারে। দিনে ৫০ গ্রামের বেশি মাছ বা মাংস খাওয়া যাবে না। তবে  মাছের মুড়ো, মুরগির মেটে খাওয়া যাবে না।
  • ডায়েটে ফাইবার আর ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার বেশি করে রাখতে হবে।
  • শরীরে পানির ঘাটতি যেন না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার পানি খেতে হবে। বেশি পরিমাণে পানি পান করলেই অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে।
  • শরীরের বিপাকহারের সঙ্গে ইউরিক অ্যাসিডের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। যাদের ওজন বেশি তাদের বিপাকহার কম থাকে। তাই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে ওজন কমানোর দিকে নজর দিতে হবে।
  • নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে ওজন কমানোর ডায়েট শুরু করতে হবে।
  • চিনিযুক্ত কোনো খাবার বা পানীয় খাওয়া যাবে না। কর্ন সিরাপ দেওয়া খাবার বন্ধ করতে হবে। নরম পানীয়, রং দেওয়া জেলি, জ্যাম, সিরাপ, কৌটোবন্দি ফ্রুট জুস খাওয়া একেবারেই চলবে না।
  • মদ্যপান করলেও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে। তাই কোনো অবস্থাতেই মদ্যপান করা যাবে না।
Link copied!