মানুষের গড় আয়ু কমছে ধীরে ধীরে। এটির নানা কারণও রয়েছে। বায়ুদূষণ, খাবারে ভেজাল, অনিয়মিত জীবনযাপন থেকে শুরু করে আরও নানা কারণে মানুষ বয়সের আগেই বুড়িয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, বয়স ৪০ পার হলেই শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন সবারই। তবে কিছু লক্ষণ আছে, যা পুরুষদের মধ্যে দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এসব লক্ষণ কখনো কখনো মরণব্যাধির ইঙ্গিতও হতে পারে। চলুন জেনে নিই লক্ষণগুলো।
মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া
বিশ্বখ্যাত সংস্থা হার্বার্ড হেলথের বক্তব্য অনুযায়ী, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাংসপেশি দুর্বল হওয়া স্বাভাবিক। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে এখন অনেক কম বয়সেই এ সমস্যা দেখা দিতে শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রে বয়স ৩০ হতে না হতেই শুরু হচ্ছে এই সমস্যা। হাত-পায়ের পেশিতে জোর না পাওয়া অন্যতম লক্ষণ।
বুকে ব্যথা
অনেক সময় বুকে ব্যথা হলে গ্যাসের ব্যথা ভেবে উপেক্ষা করেন অনেকে। তবে বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ কখনই চেপে রাখা উচিত নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কিন্তু বুকে ব্যথা হৃদরোগের উপসর্গ হয়, তাই এই লক্ষণ অবহেলা করার ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো।
শ্বাসকষ্ট
শ্বাসকষ্টও কিন্তু হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে। এটি হাঁপানি, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) মতো সমস্যারও লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে ধূমপায়ীদের এ রকম কোনো সমস্যা হলেই সতর্ক হওয়া জরুরি।
হঠাৎ ওজন কমে বা বেড়ে যাওয়া
কোনো কারণ ছাড়াই ওজন বেড়ে গেলে কিংবা কমে গেলে সতর্ক হতে হবে। আকস্মিক ওজন কমে যাওয়া ক্যানসার, হাইপারথাইরয়েডিজম বা হজমজনিত রোগের লক্ষণ হতে পারে। অন্যদিকে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।
কোনো কিছু ভালো না লাগা
গবেষণা বলছে, ৪০ বছর বা তার আশপাশের বয়সের পুরুষ মানুষের মুড সুইং হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আসতে পারে ডিপ্রেশনও। নিজের প্রতি বিশ্বাস হারানো, মন মরা হয়ে থাকা, কোনো কিছু ভালো না লাগা, বিষণ্ণতা গ্রাস করলে বুঝতে হবে আপনার সমস্যা হচ্ছে। সেই সময় অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
হাই ব্লাডপ্রেশার
হাই ব্লাডপ্রেশার রোগটি এখন ঘরে ঘরে। ৩০ পার হতে না হতেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার কোনো সমস্যা থাকুক না থাকুক, ব্লাডপ্রেশার নিয়মিত চেক করতেই হবে।
ডায়াবেটিস
৪০-এর আশপাশে বয়স থাকলে ডায়াবেটিস হতেই পারে। বারবার প্রস্রাব হওয়া, অতিরিক্ত পিপাসা, হঠাৎ রোগা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। তবে অনেক সময় রোগের লক্ষণ দেখা না দিতেও পারে। সে ক্ষেত্রে বছরে একবার ডায়াবেটিস টেস্ট করানো উচিত।
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    






































