লক্ষণ দেখে কীভাবে বুঝবেন ডেঙ্গু হয়েছে। ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট কমলে ঝুঁকি বেশি হয় নাকি রক্তচাপ কমলে ঝুঁকি বেশি হয়। কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জ্বর থাকলেও সর্দিকাশি থাকে না। রোগীদের গায়ে ব্যথা থাকে। গায়ে ফুসকুড়ি (র্যাশ) থাকতে পারে, না-ও থাকতে পারে। ডেঙ্গু রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, চোখের পেছনে, পিঠ-কোমর ও মাংসপেশিতে ব্যথা থাকে।
ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি বেশি থাকে। ডেঙ্গুর তিন-চার দিন পর জ্বরের প্রকোপ কমে এলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। অনেকের ফুসফুসে পানি জমে যেতে পারে। রক্তচাপ কমে যেতে পারে। অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে যে প্লাটিলেট কমে গেলে বিপদ বেশি। কিন্তু প্লাটিলেটের চেয়ে রক্তচাপ কমে গেলে ভয় বেশি। কারও প্লাটিলেট যদি ৫ হাজারেও নেমে যায়, কিন্তু রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে তাহলে ঝুঁকি নেই। রক্তচাপ নেমে গেলে রোগী ‘শকে’ চলে যায়। তাই প্লাটিলেট নিয়ে অস্থির না হয়ে রক্তচাপের দিকে নজর রাখা বেশি জরুরি। রক্তচাপ কমে গেলে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে।
ডেঙ্গু রোগীকে স্যালাইন দিতে হবে। ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগ হওয়ায় মশা নিধনে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের নজর বাড়ানো প্রয়োজন। সেই সঙ্গে জনগণকে সচেতন হতে হবে। তাদের বিবেচনায় রাখতে হবে যেকোনো পাত্রে যেমন টব, টায়ারে যেন পানি জমে না থাকে। বাথরুমের কোনায় পানি জমে থাকলে তা মুছে ফেলতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে একসঙ্গে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করতে হবে।