কাঁচা মরিচ ভিটামিনের অন্যতম উৎস। পুষ্টিতে ভরা আধা কাপ কুচি কাঁচা মরিচে প্রায় ৮০০ ইউনিটের বেশি ভিটামিন এ পাওয়া যায়। এ ছাড়া ভিটামিন সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। তবে গবেষকেরা বলছে, তাপ, অতিরিক্ত আলো ও বাতাসের কারণে কাঁচা মরিচের ভিটামিন সি কমে যায়। তাই কাঁচা মরিচ ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় সংরক্ষণ করুন। আমেরিকার ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চ বলছে, তাজা সবুজ কাঁচা মরিচে যে ক্যাপসেইসিন আছে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। তাই কাঁচা মরিচে কেবল ঝালই নেই, আছে নানা উপকারও। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা মরিচের আরও কিছ স্বাস্থ্য উপকারিতা।
- চর্বিজাতীয় খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ খেলে মোটা হওয়ার ভয় থাকে না। কারণ কাঁচা মরিচ খাদ্যের সঙ্গে থাকা চর্বিকে ধ্বংস করে । ফলে স্লিম থাকা যায়।
- কাঁচা মরিচের ক্যাপসাইসিন খাদ্যে থাকা উচ্চমাত্রার চর্বি শুষে নিয়ে শরীরে মেদ কমাতে সাহায্য করে।
- এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।
- কাঁচা মরিচে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক ও চুল ভালো রাখতে দারুণ উপকারী। তা ছাড়া রক্তনালি আর তরুণাস্থি গঠনে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়। হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা কমে।
- কাঁচা মরিচ মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালরি পোড়াতে সহায়তা করে। ফলে নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
- এতে আছে ভিটামিন এ যা হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে, যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে।
- নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যাও কমে যায়। প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত একটি করে কাঁচা মরিচ রাখলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না।
- কাঁচা মরিচের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে। যেকোনো ধরনের কাটাছেঁড়া বা ঘা শুকানোর জন্য খুবই উপকারী।