বাংলাদেশের কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৯ জুলাই। ২০১২ সালের এই দিন নিউ ইয়র্কে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন তিনি।
হুমায়ুন আহমেদের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নুহাশ পল্লীতে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুধবার সকাল থেকে আশপাশের কয়েকটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্ররা নুহাশ পল্লীতে কোরআন তেলাওয়াত করবেন। পরে তারা কবর জিয়ারত ও দোয়ায় অংশ নেবেন। বুধবারের কর্মসূচিতে অংশ নিতে হুমায়ূন আহমেদের দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিতসহ স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন মঙ্গলবার রাত থেকেই নুহাশ পল্লীতে আছেন। এ ছাড়া কথা সাহিত্যিকের পরিবারের লোকজন, ভক্ত, বন্ধুরা কবর জিয়ারত ও মিলাদে যোগ দেবেন। দুপুরে মিলাদ মাহফিল শেষে এতিম শিশু ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হবে।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কুতুবপুরে জন্মেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম লেখক। উপন্যাসে নিজের প্রতিভার বিস্তার ঘটলেও তার শুরুটা ছিল কবিতা দিয়ে। এরপর নাটক, শিশুসাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, চলচ্চিত্র পরিচালনা থেকে শিল্পসাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি অবদান রেখেছেন।
কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, পরিচালক বিভিন্ন বিভাগে হুমায়ূন আহমেদ মোট আটটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশে অসংখ্য সম্মাননা অর্জন করেছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :