কোনো জেলার তাপমাত্রা যদি ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যায়, তবে সেখানকার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা আঞ্চলিক পর্যায়ে আলোচনা করে সেই জায়গার প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ও পাঠদানের সময় পরিবর্তন করতে পারেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, “রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা বিবেচনা করে সারা দেশের বিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পাঁচটি জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির পর্যায়ে আসার আশঙ্কা রয়েছে। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাংলাদেশে তো নতুন নয়। সুতরাং, পাঁচটি জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে যাওয়ার পূর্বাভাসের ওপর ভিত্তি করে সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়।”
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “কিছু হলেই স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার এত আলোচনা কেন আসে? বাংলাদেশে কি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান নেই? এখন সবকিছু খোলা থাকবে আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, এই প্রত্যাশাটি যথাযথ নয়।”
একটি পরিস্থিতিতে শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, “নতুন কারিকুলামের যে প্রক্রিয়া, সেখানে পুরো বছর শনিবার বন্ধ দেওয়া উচিত কি না, সেটি নিয়ে আমাদের আলোচনা আছে। যেহেতু আমরা ১০ দিন পাঠদান মিস করেছি, তাই এই মুহূর্তে শনিবার স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে সেটি যদি প্রয়োজন না হয়, তাহলে অন্য সিদ্ধান্ত আসতে পারে।”
এর আগে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এর উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, এনএসডিএ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজ।
আপনার মতামত লিখুন :