• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
লেখকের মুখোমুখি

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মৌলি আজাদের গল্প ‘ইগলের চোখ’


নাইস নূর
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৮:২২ পিএম
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মৌলি আজাদের গল্প ‘ইগলের চোখ’

‘বইমেলায় বসার ব্যবস্থা আমার ভালো লেগেছে, সাদা চেয়ারে বসে গায়ে রোদ মাখানো যায়’। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই স্ট্যটাস দিয়েছেন মৌলি আজাদ। এবার অমর একুশে বইমেলায় আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার নতুন বই ‘ইগলের চোখ’। বইটি ও অন্যান্য বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাইস নূর।

 

সংবাদ প্রকাশ: কেমন আছেন?
মৌলি আজাদ: ভালো।

সংবাদ প্রকাশ: ‘ইগলের চোখ’ বইটি সম্পর্কে জানতে চাই। 
মৌলি আজাদ : নয়টি বৈচিত্রপূর্ণ গল্প দিয়ে বইটি সাজানো হয়েছে। সত্য ঘটনা অবলম্বনে দুটি গল্প লিখেছি। একটি হলো ‘মা’ ও আরেকটি ‘ঈশ্বর থাকেন ওই ভদ্র পল্লিতে’।

সংবাদ প্রকাশ : বইয়ের নামগল্পটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে লেখার আগ্রহ কেন হলো?
মৌলি আজাদ : প্রথমত তাঁর কাজে মুগ্ধ হয়ে। অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে একটি গল্প লিখব। অবশেষে স্বপ্নটা পূরণ হলো। পাখিদের মধ্যে ইগলের দৃষ্টি সুতীক্ষ্ণ। আমি  মনে করি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি ইগলের মতো। আমাদের দেশের আনাচে কানাচের উন্নয়ন দেখলে সেটা মনে হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বলতেই হবে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনেক সাহসী।

সংবাদ প্রকাশ : বইটি লেখার প্রস্তুতি কেমন ছিল?
মৌলি আজাদ : প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে লেখা অনেক বই আমি পড়েছি। পত্রিকার ফিচার কালেক্ট করেছি। আরো অনেক কিছু। বলতে পারেন বুঝে শুনে গবেষণা করেই গল্পটি লিখেছি। গল্পে দেখানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বিমান ভ্রমণে যাচ্ছেন।  দেশ নিয়ে অনেক কিছু ভাবছেন। এসবই। বাকিটা পাঠক বইটি পড়ে জেনে নিবে।

সংবাদ প্রকাশ : বই লেখার ব্যাপারে আপনি এখন অনেক সিরিয়াস। নিয়মিত বই কি লিখবেন?
মৌলি আজাদ : আমি প্রতি বছর বই বের করার পক্ষে নই। লেখার পর যখন মনে হবে বইটি প্রকাশ করার উপযোগী তখনই করব।

সংবাদ প্রকাশ : উপন্যাস কবে লিখবেন?
মৌলি আজাদ  : অবশ্যই লিখব। তবে উপন্যাস লেখার জন্য পরিণত লেখক এখনো আমি হইনি বলে মনে করি। আমি আরো সময় নিতে চাই।

সংবাদ প্রকাশ : আপনার বাবা (হুমাযূন আজাদ) বিখ্যাত লেখক। তাঁকে দেখেই কি লিখতে আগ্রহী হয়েছেন? 
মৌলি আজাদ : বিষয়টা এরকম নয়। লেখক সত্তা ছোটবেলা থেকে আমার মধ্যে ছিল। স্কুল-কলেজের দেয়ালিকায় নিয়মিত লিখতাম। এরপর পরিবার, পাঠক, আমার প্রকাশকের উৎসাহে লেখালেখি করতে অণুপ্রাণীত হয়েছি।

সংবাদ প্রকাশ :  বইমেলায় আপনার বাবার ভক্তদের সাথে কি দেখা হয়?
মৌলি আজাদ : যখন বাবার বই কিনে আমার অটোগ্রাফ কেউ চায়, তখন আমি অস্বস্তি বোধ করি। কারণ এর যোগ্য আমি নই। বাবার বইয়ে আমি অটোগ্রাফ দিই না। বাবার পাঠকদের আমি বিনয়ের সঙ্গে বলি এটা আমি পারব না।

সংবাদ প্রকাশ : বইমেলা নিয়মিত যাচ্ছেন। মেলা সম্পর্কে কিছু বলুন।
মৌলি আজাদ :  এবার মেলায় ভীষণ ভীড়। বসার জায়গা আছে। রোদ পোহানো জায়গা আছে। আরাম লাগে। স্টলে বসে পাঠকদের সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগে। ১৪ ফেব্রুয়ারিতে দেখলাম দুইজন বান্ধবী বইমেলায় আসবে, সেজন্য নতুন শাড়ি কিনে পরেছে। সেজেগুজে মেলায় ঘুরছে। বই কিনছে। দারুণ দৃশ্য।

সংবাদ প্রকাশ : লেখকদের কোন বিষয়টা ভালো লাগছে?
মৌলি আজাদ : বই বিনিময় প্রথা। একজন লেখক তাঁর লেখা বই আর একজন লেখককে উপহার দিচ্ছে। এই বিষয়টা ভালো লাগছে।

সংবাদ প্রকাশ : আপনার পাঠকদের সম্পর্কে কিছু বলতে চান? 
মৌলি আজাদ : বেঁচে থাকলে বই লিখব। তবে আমি তাড়াহুড়া করতে চাই না। স্বস্তি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে বই লিখতে চাই। আশা করছি, আমার পাঠকরা নিরাশ হবেন না।

 

Link copied!