• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

শেষ সময়ে পুরোদমে চলছে বইমেলার প্রস্তুতি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
শেষ সময়ে পুরোদমে চলছে বইমেলার প্রস্তুতি
পুরোদমে চলছে বইমেলার প্রস্তুতি। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি শুরু হতে আর বেশিদিন নেই। এ মাসের প্রথম থেকে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। তাই শেষে সময়ে পুরোদমে চলছে বইমেলার কাজ।  দোকানের কাঠামো তৈরি, টিনশেড প্রস্তুত, কাঠের সেলফ বা তাক তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ততম সময় পার করছেন নির্মাণ শ্রমিকরা।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যান ঘুরে শ্রমিকদের ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে।

এতে কেউ কাঠ কাটছেন, কেউ প্রস্তুত করছেন বই রাখার সেলফ।  কেউ দোকানের কাঠামো তৈরি করতে বাঁশ আনছেন। একই টিনশেড দিতে উঠেছে স্টলের ওপরে।  

এসময় কথা হয় বেশ কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক ও দর্শনার্থীর সঙ্গে। তারা বলছেন, “আর কয়েকদিন পরেই ব্যস্ততা আরও বাড়বে। আর দর্শনার্থীদের প্রত্যাশা এ বছর মেলায় থাকা জরুরি নতুন লেখকদের লেখা নতুন বই।”  

পুরোদমে চলছে বইমেলার প্রস্তুতি। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

জানা যায়, ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে পুরো মাস। লিপইয়ার বা অধিবর্ষের কারণে এ বছর বইমেলা চলবে ২৯ দিন। উদ্বোধনীর দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বাংলা একাডেমি পরিচালিত নানা পদক প্রদান করা হবে গুণীজনদের।

বইমেলা পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বইমেলায় আগের তালিকা অনুযায়ী প্রকাশনা রয়েছে ৯৯১টি। এছাড়াও এ বছর নতুন আরও ৭০টি প্রতিষ্ঠান মেলায় স্টলের জন্য আবেদন করেছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রকাশকদের মধ্যে স্টল বরাদ্দের লটারি অনুষ্ঠিত হবে।

হারুন নামের এক নির্মাণ শ্রমিক বলেন, “কয়েকদিন আগে থেকে কাজ শুরু করছি। বর্তমানে কাঠের কাজ করছি। কয়েকদিন পর কাজের চাপ আরও বাড়বে। শুধু লটারির অপেক্ষায় আছি। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কাজ করতেছি। এই মেলায় কাজ করতে ভালোই লাগে। কারণ এটা শিক্ষিতদের মেলা।”

হান্নান নামের আরেক শ্রমিক বলেন, “২৮ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। তাই কাজের ব্যস্ততা এখন অনেক বেশি। কয়েক দিন পর আরও বাড়বে। আমরা আশা করছি, কাজ শেষ করতে পারব।”

আরাফ নামের এক ব্যক্তি বলেন, “বইমেলায় প্রতি বছরই আসা হয়। বইমেলার কাজ চলছে দেখে ভালোই লাগছে। আমি পাঠক হিসেবে চাইব, বই মেলায় যেন এবারও নতুন নতুন লেখকদের বইগুলো বেশি প্রকাশ করা হয়। এতে আমাদেরও ভালো লাগবে।”

মহাদেব রায় নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, “বই মেলার কাজ চলমান দেখে ভালো লাগছে। মানুষের প্রত্যাশার শেষ নেই। তবে নতুন লেখকদের বই প্রকাশ করা হবে এটাই প্রত্যাশা থাকবে।”

বইমেলার আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম জানান, মেলার পূর্বপ্রস্তুতি ও পর্যবেক্ষণের জন্য সাতটি কোর কমিটি করা হয়েছে। এছাড়াও বই মেলায় গতবারের মতোই বিন্যাস ও কাঠামো থাকছে। প্যাভিলিয়ন ও স্টলের জন্য আলাদা সারির ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও নির্ধারিত সময়ে বইমেলা উৎসবমুখর হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। 

Link copied!