• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা শুরু হলেও শেষ হয়নি স্টল তৈরির কাজ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪, ০৯:৫৪ পিএম
বইমেলা শুরু হলেও শেষ হয়নি স্টল তৈরির কাজ
চলছে স্টল তৈরির কাজ। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

অমর একুশে বইমেলা-২০২৪-এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে মেলার উদ্বোধন করেন তিনি। বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যের ধারক এ বইমেলা শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি স্টল তৈরির কাজ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বইমেলার দুইটি স্থান অর্থাৎ বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা, বেশ কয়েকটি বইয়ের স্টলে চলছে বই তাক বা সেলফ তৈরির কাজ। কিছু স্টলে এখনো শেষ হয়নি রঙের কাজ। এছাড়া অধিকাংশ স্টলেই চলছে বই সাজানোর কাজ।  

এমন পরিস্থিতিতে নির্মাণ শ্রমিকরা বলছেন, বইমেলার প্রথম দিনেও কাজ শেষ না হওয়ায় হাঁপিয়ে যাচ্ছেন তারা। আর এক থেকে দুই দিনের মধ্যে স্টলগুলো গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা প্রকাশনী সংশ্লিষ্টদের।  

আকাশ নামের একজন নির্মাণ শ্রমিককে পাওয়া যায় বইমেলার জিনিয়াস পাবলিকেশনের স্টলে। এই স্টলটিতে রঙের কাজ করছিলেন তিনি। আকাশ বলেন, “বৃষ্টির কারণে কাজ গুছাতে পারিনি। তাই এখনো কাজ চলছে। দ্রুত কাজ শেষ করতে অনেক চাপ দিচ্ছেন মহাজনরা। শরীরের চাচ্ছে না কাজ করতে, কষ্ট হলেও তবুও করতে হচ্ছে।”

চলছে স্টল তৈরির কাজ। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

চেতনায় ঐতিহ্য প্রকাশনীর দায়িত্বে থাকা মোহন বলেন, “মেলার শুরুর পূর্বে কিছু প্রস্তুতি থাকে। যেমন, স্টলের ডিজাইন করা। দেখা যায় একটা ডিজাইন করা হয়েছে, কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আবার পরিবর্তন করতে হচ্ছে। তারপর নির্মাণ শ্রমিকদের ঠিকমতো পাওয়া যায় না। এ কারণে কাজগুলো পিছিয়ে যায়। আগামী দুই দিনের মধ্যে শেষ করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী। নতুন নতুন বইয়ের আয়োজন থাকবে এ বছর। আমরা আশাবাদী পাঠকরা আসবেন এবং বই কিনবেন।”

বাংলা একাডেমির প্যাভিলিয়নের দায়িত্বে থাকা সেলিম বলেন, “বাংলা একাডেমির যেসব স্টল রয়েছে, সেগুলোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন বই গোছানোর কাজ চলছে।”

ছায়াবিথী প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক জহুরুল ইসলাম রণি বলেন, “আমাদের স্টল তৈরি থেকে শুরু করে বই সাজানো শেষ হয়েছে। পাঠকরা ইতোমধ্যে আসা শুরু হয়েছে। বইমেলা আশা করছি এ বছর ভালো হবে।”

এদিকে বইমেলা শুরুর আগে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) আয়োজক সংস্থা বাংলা একাডেমির সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ বছর ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠান বইমেলায় অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে মোট ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯৩৭টি।  এরমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৭৬৪টি ইউনিট।
 

Link copied!