ইশ সোধির বোলিং ঘূর্ণিতে দিশেহারা বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এই স্পিনার এক এক করে তুলে নিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম-সৌম্য সরকার ও তাওহীদ হৃদয়ের উইকেট। ৬০ রানে ১ উইকেট থাকা বাংলাদেশ পরের ১০ রান তুলতে হারায় এই তিন ব্যাটসম্যানকে। তবে কিউইদের হয়ে প্রথম ব্রেকথ্রুটা এন দেন কাইল জেমিসন। তিনি তেুলে নেন ৬ রান করা লিটনের উইকেট। এই প্রতিবেদনটি লেখার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৬ ওভারে ৪ উইকেটে ৭৮ রান।
নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২৫৫ রান তাড়ায় বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে আসেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। প্রথম পাঁচ ওভারে দুজনই খেলেছেন সতর্কভাবে। ৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ করে ১৭ রান। ষষ্ঠ ওভারেই লিটনের বিদায়। নিজেকে হারিয়ে খুঁজে ফেরা লিটন ফিরেন মাত্র ৬ রান করে। তার উইকেটটি তুলে নেন কাইল জেমিসন।
এরপর সিনিয়র তামিমের সঙ্গে জুটি গড়তে উইকেটে আসেন জুনিয়র তামিম। দুই জনের রসদটা জমে উঠে ভালই। ২৮ বলে আগ্রাসী ব্যাটিং করে দুই তামিম যোগ করেন ৪১ রান। এরপরিই বিদায় জুনিয়র তামিমের।
ইশ সোধিকে তুলে মারতে গেলে, এক্সট্রা কাভারে ফার্গুসনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তার ১২ বলে ১৬ রানের ইনিংস শেষ এখানেই। প্রথম পাওয়ারপ্লের পরও আক্রমণাত্মক ভাবটা ধরে রেখেছিলেন তরুণ ব্যাটসম্যান।
২০২১ সালের পর ওয়ানডেতে ফিরেছিলেন সৌম্য। তবে ২ বছর পর ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ২ বল টিকলেন শুধু। সোধির বলে লেগ সাইডে ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে লিডিং-এজড হয়েছেন এ বাঁহাতি। রান করতে পারেননি কোনো। বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। ফিরেন মাত্র ৪ রান করে। তাকেও ফেরান সোধি। তানজিদ- সৌম্যর পর হৃদয়ের বিদায়ে আবার চাপে বাংলাদেশ।
এরআগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভারে ২ বলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।