নিউজিল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৬ ওভার ৪ বলের সময় হুট করেই হাসান মাহমুদ বিতর্কের জন্ম দেন। তার বিতর্কের বিষয় ছিল নন স্ট্রাইক প্রান্তে ইশ সোধিকে মানকাডিংয়ে আউট করলে। সোধিকে মানকাডিংয়ে আউট করার পর র্থাড আম্পায়ারের কাছ থেকেও সিদ্ধান্ত আসে আউটের। এতেই সাজঘরের পথও ধরেন এই লেগ স্পিনার। যাওয়ার সময় ব্যাট উচিয়ে ধরে তালি বাজিয়ে ক্ষোভের ছলে করলেন ঠাট্টা। মাঠ থেকে বের হওয়ার আগেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে তাকে আবার ফিরে নিয়ে আসেন।
এমন ঘটনার পর চারদিকে নানা আলোচনা-সমালোচনার তৈরি হয়েছে। মানকাডিং আউট করা আেইসিসির নিয়মে বৈধতা রয়েছে। এমন আউট ক্রিকেট বিশ্ব অহরহ দেখা যায়। তবে হাসান আউটর করার পর আবার ফিরে আসতে বলাকে ‘ভদ্রতা’ বলছেন সোধি। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক লিটনের।
সোধি বলেন, “আমরা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মতো মানুষ। আপনি দেশকে জেতানোর জন্য লড়ছেন, এখানে কিছুটা উত্তেজনা থাকতে পারে। আমি সামান্য বাইরে ছিলাম। ভালো হতো আমাকে সতর্ক করলে। আমি বুঝতে পারছি এখানে নিয়ম হলো আউট করা। আমার মনে হয় এটা বাংলাদেশ দারুণ ভদ্রতা দেখিয়েছে। তারা খুব খুব ভালোভাবে সামলেছে এটা। আমি সৌভাগ্যবান ছিলাম তারা আবার আমাকে ফিরিয়ে এনেছে। আমি যদি বোলার হতাম, একই ব্যাপার করতাম হয়তো।”
ইশ সোধি ইনিংসের ৪৬ ওভার ৪ বলে মানকাডিং আউট হওয়ার পর ১৮ রান করেছেন। গড়েছেন ত্রিশ রানের জুটিও। তাতে নিউজিল্যান্ড পেয়েছে আড়াইশ রানের লড়াকু সংগ্রহ। মানসিকভাবেও রান তাড়ার সময় বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। এটা কি বাংলাদেশকে ম্যাচেও পিছিয়ে দিয়েছে? এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল সোধিকে।
এই লেগ স্পিনার বলেন, “আমি খুব ভালো ব্যাটার নই। এটা সুন্দর ভদ্রতা ছিল। বোলার হলে আমিও একই কাজ করতাম। গত কয়েক বছরে আমি অনেক দারুণ অধিনায়কের অধীনে খেলেছি নিউজিল্যান্ডের। আমার মনে হয় তারাও একই কাজ করতো। লিটন ছিল অনন্য যেভাবে সে সামলেছে সবকিছু। আমি বোলারকে জড়িয়ে ধরেছি, লিটনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। আমরা সবাই ক্রিকেটকে খুব সম্মান করি। সবাই চেষ্টা করছি স্পিরিটটা অক্ষুণ্ন রাখতে।”
সোধি আরও বলেন, “এটা ভালো যত সম্ভব রান করা। আমি হয়তো এমন করতাম না। বুঝতে পারছি এটা এখন খেলার নিয়মে আছি। আপনি পুরো দুনিয়াতেই এমন ঘটনা দেখেন। এটা এখন কিছুটা বিতর্কিত ইস্যু। তারা হয়তো আমাকে সহজেই সাজঘরে ফিরতে দিতে পারতো। তারা অনেক বড় স্পোর্টসম্যানশিপ দেখিয়েছে। আমরা সৌভাগ্যবান জয়ী দল হতে পারে কিন্তু এটা গুরুত্বপূর্ণ খেলার স্পিরিটটা বাঁচিয়ে রাখা। বিশেষত যখন আমরা এমন প্রতিদ্বন্দ্বীতপূর্ণ ম্যাচ খেলছি দেশের হয়ে জিততে।”