• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি ঘুমের প্রয়োজন কেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম
পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি ঘুমের প্রয়োজন কেন
ছবি: সংগৃহীত

শারীরিক পরিশ্রম তো নারী-পুরুষ উভয়ই করেন। তবে নারীদের ২৪ ঘণ্টাই সব সামলাতে হয়। তাই চাপটাও তুলনামূলক বেশি থাকে। কর্মজীবী নারীদের তো ঘর-বাইরে দুটোই সামলাতে হয়। তাদের শারীরিক পরিশ্রমের সঙ্গে মানসিক চাপও বেশি থাকে। যা পুষিয়ে নিতে টানা ঘুমের প্রয়োজন হয়। যদিও সব সামলাতে গিয়ে ঘুমের সময়টাই বের করতে পারেন না অনেকে। তখনই ঘটে বিপত্তি। দেখা দেয় নানা সমস্যা। শারীরিক আর মানসিক সমস্যাগুলো বাড়তে থাকে। নিজের প্রতি অবহেলার খেসারত দিতে হয় একসময়।

চিকিৎসকদের মতে, একজন পুরুষের চেয়ে একজন নারীর ঘুমের প্রয়োজন বেশি। এমনকি দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টার ঘুমও যথেষ্ট নয়। বরং এর চেয়েও বেশি ঘুমের প্রয়োজন হয় নারীদের।

‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’-এর মতে, প্রায় ৪০ শতাংশ নারী অনিদ্রায় ভুগছেন। প্রাথমিক কয়েকটি গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, জৈবিক গঠন অনুসারে পুরুষ ও নারীদের ঘুমের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে সামান্য পরিবর্তন থাকে। যেমন ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ঘুম  অনেক বেশি হালকা হয়। ছেলেরা গভীরভাবে ঘুমাতে পারে। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘুম খুব ক্ষনস্থায়ী হয়। তাদের ঘুম অল্পতেই ভেঙে যায়। তারা নানা চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুমাতে যান। তাই তাদের মধ্যে সবসময় মানসিক চাপ কাজ করে। তাই নিশ্চিন্তে প্রশান্তি ঘুম খুব কম নারীই দিতে পারেন। এমন চিত্র পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। তাই শারীরিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নারীদের তুলনামূলক বেশি ঘুম প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞরা জানান, যেসব নারী ঘুমের অনিয়ম করেন বা অনিদ্রায় ভুগছেন তারা কিছু নিয়ম মেনে নিয়মিত ঘুমের রুটিন ঠিক করতে পারেন। যেমন, রাতের কাজগুলো দ্রুত সেরে ১০টার মধ্যেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। যেহেতু সকালে উঠতেই হয় তাই রাত জেগে কোনো কাজ না করাই ভালো। তাছাড়া রাতে হালকা খাবার খেয়ে নিন। ভারী খাবার খাওয়া বা একেবারে না খেয়ে থাকা কোনোটাই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। রাতে কোনোভাবেই কফি, চা পান করবেন না। যদি সম্ভব হয় ঘুমানোর আগে প্রশান্তি পেতে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিন। এতে ভালো ঘুম হবে।

 

Link copied!