• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মন খারাপ হলেই অফিসে মিলবে ছুটি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ০৮:২০ পিএম
মন খারাপ হলেই অফিসে মিলবে ছুটি
ছবি: সংগৃহীত

শারীরিক স্বাস্থ্যের মতো মানসিক স্বাস্থ্যও মানুষকে প্রভাবিত করে। শরীর খারাপ থাকলে যেমন কিছু ভালো লাগে না। মন খারাপ থাকলেও ঠিক তেমনি লাগে। কোথাও যেতে ভালো লাগে না, কোনো কাজ করতে ভালো লাগে না। তবুও দৈনন্দিন কাজ তো আর ফেলে রাখা যায় না। অনিচ্ছা নিয়েই তা করতে হয়। যেমন মন খারাপ থাকলেও গৃহিণীদের ঘরের কাজ করতে হয়, আর কর্মজীবীদের যেতে হয় কর্মস্থলে। কিন্তু ভাবুন তো মন খারাপের কারণে যদি কর্মস্থল থেকে ছুটি পাওয়া যায় তবে কেমন হবে! অবাক হলেও সত্যি যে মন খারাপের জন্যই এখন ছুটি মিলছে অফিস থেকে। সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশিত হয়ে সাড়া পড়ে গেছে নেটদুনিয়ায়।

মন খারাপ থাকলে কর্মস্থলে যেতে হবে না এমন খবরে সাড়া জাগিয়েছে চীনের হেনান প্রদেশ। সেখানের চেইন সুপারমার্কেট পাং ডং লাই কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি বছর মার্চ মাসের শেষের দিকে এমন ঘোষণা দেয়।

সুপারমার্কেটের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইয়ু ডংলাই এই সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, মন খারাপের কারণে কর্মীরা বার্ষিক ছুটির সঙ্গে অতিরিক্ত ১০ দিনের ছুটি নিতে পারবেন। ডংলাই বলেছেন, ‘আমি চাই প্রত্যেক কর্মীর স্বাধীনতা থাকুক। প্রত্যেকেরই মন খারাপের সময় আসে। যদি মন খারাপ থাকে, তাহলে কাজে আসার দরকার নেই। কর্মীরা এ ধরনের ছুটি নিতে পারবে এবং কর্তৃপক্ষ তা নাকচ করতে পারবে না। বরং এই ছুটি নাকচ করা প্রতিষ্ঠানের নীতির লঙ্ঘন হবে।’

তিনি আরও বলেন, “কর্মীরা নিজেরাই স্বাধীনভাবে নিজেদের বিশ্রামের সময় নির্ধারণ করবে। সবার জন্য কাজের বাইরে পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ থাকা উচিত। এছাড়াও কর্মীদের ওভারটাইম কাজ করা অনৈতিক এবং এটা সুযোগের অপব্যবহারও।“

প্রতিষ্ঠান নিয়ে ডংলাই বলেন, ‘পাং ডং লাইয়ের দর্শন হলো—স্বাধীনতা ও ভালোবাসা। আমরা বড় প্রতিষ্ঠান করতে চাই না। আমরা চাই, কর্মীরা সুস্থ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন যাপন করবে।’

সম্প্রতি চীনের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম উইবোতে খবরটি প্রকাশ করেছেন এক ব্যবহারকারী। তিনি লিখেছেন, “এরকম ভালো বস এবং এই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম সারাদেশে প্রচার করা উচিত।“ অন্য এক ব্যবহারকারী লিখেন, ‘আমি পাং ডং লাইয়ে চাকরি নিয়ে যেতে চাই। আমার ধারণা, সেখানে আমি আনন্দ ও সম্মান পাব।“

জানা যায়, ডংলাইয়ের প্রতিষ্ঠানে কর্মীরা মাত্র ৭ ঘণ্টা কাজ করেন। সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াও বছরে ৩০ থেকে ৪০ দিনের বার্ষিক ছুটি পান এবং নববর্ষে পাঁচদিনের ছুটি থাকে। এছাড়াও পাং ডং লাইয়ের কর্মীদের গড় মাসিক বেতন প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার ৭২১ টাকা (৯৭০ মার্কিন ডলার)।

এদিকে চীনে কর্মক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যয় করতে হয় কর্মজীবীদের। এই নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে ২০২১ সালে করা এক জরিপে। সেখানে বলা হয়, চীনে ৬৫ শতাংশেরও বেশি কর্মী কর্মক্ষেত্রে ক্লান্তি ও অসন্তুষ্ট থাকেন। তাদের মজুরি কম এবং জটিল আন্তব্যক্তিক সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও ওভারটাইমের জন্য কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়।

Link copied!