পোষা কুকুরের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র পরীক্ষা করেছিলেন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেন হামলার প্রধান এই পরিকল্পনাকারীর চতুর্থ ছেলে ওমর।
সম্প্রতি বিশ্বকাপ খেলা উপলক্ষে কাতারে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন।
ওমর বলেন, “আমি এটা দেখেছি, তারা আমার কুকুরের ওপর এই পরীক্ষা করেছেন। এতে খুশি ছিলাম না। আমি যতটা পারি সব খারাপ সময় ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করি। এটা খুব কঠিন। সব সময় কষ্ট পাই।”
ওমরের দাবি, ছোটবেলায় আফগানিস্তানে থাকার সময় বিন লাদেনই তাকে আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। এমনকি ছেলেও নিজের (লাদেনের) পদাঙ্ক অনুসরণ করুক, এমনটিই চাইতেন আল-কায়েদার এই প্রতিষ্ঠাতা। ওমর পারিপার্শ্বিক ঘটনার একজন ভিকটিম এবং নিজের বাবার সঙ্গে অতীতের সেই ‘খারাপ সময়কে’ ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেও জানান তিনি।
বাবা আমাকে কখনোই আল-কায়েদায় যোগ দিতে বলেননি উল্লেখ করে ওমর বলেন, “তিনি আমাকে বলেছিলেন পরবর্তী সময়ে তার কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমিই তার নির্বাচিত ছেলে। জবাবে আমি সেই জীবনের জন্য উপযুক্ত নই বলে জানালে তিনি হতাশ হয়েছিলেন।”
ছোটবেলায় অত্যাধুনিক অস্ত্র একে-৪৭ চালানো হাতে পরবর্তী জীবনে তুলি ধরেছিলেন ওমর। আর সেই থেকেই তিনি বেশ নামী চিত্রশিল্পী। ওমরের হাতে আঁকা এক একটি ছবি সাড়ে আট হাজার পাউন্ডেও বিক্রি হয়।
ছবি আঁকা সম্পর্কে ওমর বলেন, “হাতে আঁকা এসব ছবি আমাকে একটি নিরাপদ অনুভূতি দেয়, যেন আমি অস্পৃশ্য।”
ওমরের স্ত্রী জাইনা বলেন, “ওমর তার ‘হৃদয়ের সঙ্গী’ এবং তিনি ‘খুব খারাপ ট্রমা, স্ট্রেস এবং প্যানিক অ্যাটাকে’ ভুগেছেন। একই সঙ্গে ওসামা বিন লাদেনকে ভালোবাসে এবং ঘৃণাও করেন ওমর। লাদেনকে সে ভালোবাসে বাবা হিসেবে। কিন্তু লাদেন যা করেছেন সেটার জন্য তাকে ঘৃণা করে।”
আপনার মতামত লিখুন :