বেশিরভাগ মানুষই শারীরিক সুস্থতা-অসুস্থতাকেই বেশি গুরুত্ব দেন। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তেমন একটা ভাবেন না। কিন্তু শরীর তো বটে, মনের যত্ন নেওয়াটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। শরীর ও মন দুটো ভালো থাকলে তবেই দৈনন্দিন জীবনের অনেক ঝামেলা ঠান্ডা মাথায় মোকাবিলা করা সম্ভব। আর এর জন্য প্রয়োজন মানসিক দক্ষতা বাড়ানো। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। চলুন জেনে নিই সেগুলো কী-
- প্রতিদিনের হাজারো সমস্যা থাকবে এবং এটি মেনে নিয়েই যতটুকু সম্ভব মনকে ফুরফুরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। মন ভালো থাকলে সবকিছুতেই উৎসাহ পাবেন।
- আমরা অনেক সময় সরাসরি কথা না বলে ঘুরিয়ে বলতে পছন্দ করি। এটি পরিহার করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে যুক্তিসঙ্গত কথা বলা বা কাজ করার।
- যেকোনো কাজকে শুরুতেই জটিল করে না দেখে সহজভাবে দেখতে হবে। ভাবতে হবে কত সহজ উপায়ে কাজটি সমাপ্ত করা যায়।
- যদি কোনো দায়িত্ব নিয়ে থাকেন তাহলে তা আন্তরিকভাবে পালন করার চেষ্টা করতে হবে। পারষ্পারিক দ্বন্দ্ব যেন না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখা উচিত।
- সবসময় সম্মানের ভয়, খ্যাতির বিরম্বনা, লাভের তীব্রতা এবং রাগ ও হতাশা এই অনুভূতিগুলো ক্ষতিকর। এগুলো নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না।
- আমরা প্রতি মুহূর্তে নিজের সাধ্যকে অতিক্রম করার চেষ্টা করি। যে দায়িত্বেই থাকুন না কেন চেষ্টা করুন নিজের সাধ্যমতো কাজ করতে।
- নিজের প্রতি সচেতন থাকুন কিন্তু সতর্ক নয়। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি উপায় হলো নিজের প্রতি খেয়াল রাখা।
- কারণে অকারণে দুশ্চিন্তা করা বন্ধ করতে হবে। কারণ আমরা দুশ্চিন্তা করে অনেক সময় নষ্ট করি যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। দুশ্চিন্তাকে কর্মক্ষমতাকে বাধাপ্রাপ্ত করে।
- নিজেকে সময় দিন। উদ্দেশ্যহীনভাবে কাজ এবং চিন্তা করা যাবে না। অগোছালোভাবে জীবনযাপন না করে নিজেকে গুছিয়ে চলার চেষ্টা করুন। এটি অত্যন্ত জরুরি। নিজের কর্মশক্তিকে যোগ্য কাজে লাগাতে হবে।
- ভুল হলে সাময়িক মন খারাপ করুন কিন্তু অপরাধবোধ ও লজ্জাবোধে ভুগবেন না। তবে অবশ্যই ভুল শুদ্ধির চেষ্টা করুন। এটা নিজেকে নিয়ন্ত্রণের একটা ভালো পদ্ধতি।
- মানসিক কষ্টকে কাজে পরিণত করার চেষ্টা করুন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যাকে জীবন পরিবর্তনের চাবিকাঠি হিসেবে কাজে লাগান।
- ভালো লাগার বিষয়গুলোর ভাবুন। এটি মানসিক চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। নিজের শখের প্রতি বা পছন্দের কাজের প্রতি গুরুত্ব দিন।
- অন্যের চিন্তা ভাবনা, মন মানসিকতার কথা চিন্তা করুন। আত্মসচেতনতা, আত্মসম্মানবোধ, আত্মদায়িত্ববোধ এবং আত্মজ্ঞান অন্যকে ভালোবাসার মতো। যখন আপনি নিজের জন্য কাজ করবেন তখন আপনি অন্যের জন্য, পৃথিবীর জন্য ও অবদান রাখতে পারেন।