কাঁচা আম কারা, কেন খাবেন না


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম
কাঁচা আম কারা, কেন খাবেন না
ছবি: সংগৃহীত

কাঁচা আম গ্রীষ্মকালের একটি জনপ্রিয় ফল। যা অনেকেই খেতে পছন্দ করেন। এটি ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর হওয়ায় শরীরের জন্য উপকারী। তবে অতিরিক্ত কাঁচা আম খাওয়ার কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। অতিরিক্ত কাঁচা আম খাওয়া থেকে বিরত থাকা কেন জরুরি, চলুন জেনে নেই।

পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর
কাঁচা আমে থাকা টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করলেও অতিরিক্ত খেলে এটি পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অম্ল তৈরি করে। এর ফলে অম্বল, গ্যাস্ট্রিক, বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের হজমের সমস্যা বা অ্যাসিডিটি আছে, তাদের জন্য কাঁচা আম বিশেষভাবে ক্ষতিকর হতে পারে।

দাঁতের ক্ষতি করে
কাঁচা আম খাওয়ার সময় অনেকেই লবণ ও মরিচ দিয়ে খেয়ে থাকেন। এই সংমিশ্রণ দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে দাঁতের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাছাড়া কাঁচা আমের টক স্বাদ দাঁতে ব্যথা বা সংবেদনশীলতার কারণ হতে পারে।

ডায়রিয়া ও হজমের সমস্যা
অতিরিক্ত কাঁচা আম খেলে পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হতে পারে। বিশেষ করে যদি এটি ধুয়ে না খাওয়া হয় বা রাসায়নিকযুক্ত আম খাওয়া হয়। এতে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। অনেক সময় অপরিপক্ব আম পাকাতে ক্যালসিয়াম কারবাইড ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর।

কিডনির ওপর চাপ ফেলে
কাঁচা আমে থাকা উচ্চ মাত্রার অম্ল কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত কাঁচা আম খাওয়া কিডনির কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। বিশেষ করে যারা পূর্বেই কিডনি রোগে ভুগছেন তাদের জন্য এটি আরো ঝুঁকিপূর্ণ।

গলার সমস্যা তৈরি করে
অনেক সময় দেখা যায় কাঁচা আম খাওয়ার পর গলা ব্যথা, খুসখুসে কাশি বা গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এর কারণ আমের টক উপাদান গলার সংবেদনশীল অংশে প্রভাব ফেলে। যাদের আগে থেকেই টনসিল বা গলার সমস্যা আছে, তাদের জন্য কাঁচা আম হুমকিস্বরূপ হতে পারে।

অতিরিক্ত ক্যালোরি ও চিনির প্রভাব
কাঁচা আমে চিনি কম থাকে। তবুও যদি এটি দিয়ে চাটনি, জুস বা আচার তৈরি করা হয়, তবে সেগুলোতে চিনি ও লবণযুক্ত হওয়ায় তা রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এছাড়া অতিরিক্ত খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও থাকে।

অ্যালার্জি ও ত্বকের সমস্যা
কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কাঁচা আম খাওয়ার পর অ্যালার্জি বা ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। আমের ছাল বা রসে থাকা একটি রাসায়নিক পদার্থ "ইউরুশিওল" এই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

মনে রাখবেন, যাদের পেটের সমস্যা, গলা ব্যথা, ডায়াবেটিস বা কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের কাঁচা আম থেকে বিরত থাকা বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।

Link copied!