যখন আমরা কারও মনে কষ্ট দিই, হতাশ করি বা কোনো কাজ বা কথায় অন্যকে আঘাত দেই তখন ক্ষমা চাই। ক্ষমা মন থেকে চাইতে হয়। ক্ষমা যদি কেবল দায়সারার জন্য হয়, তবে তা হবে অর্থহীন।
ক্ষমা চাওয়ার সঠিক পদ্ধতি নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণায় প্রকাশ পায়। কীভাবে ক্ষমাকে আরও কার্যকর ও অর্থবহ করা যায় তা নিয়েই চলে গবেষণা। গবেষণা করেছেন লন্ডনের রয়্যাল হোলোওয়ে ইউনিভার্সিটির শিরি লেভ-আরি। কীভাবে 'Sorry' বলাকে আরও প্রভাবশালী করা যায়।
গবেষণায় উঠে এসেছে, ক্ষমা চাওয়ার সময় যেসব শব্দ বেছে নেওয়া হয়, তা থেকেই বোঝা যায় কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে ক্ষমা চাওয়া হচ্ছে। গবেষণায় দেখা যায়, শুধু "Sorry" বললেও অনেক সময় অন্যকে ভালো অনুভব করানো যায়। আবার
ক্ষমাকে আরও অর্থবহ করতে Sorry'র সঙ্গে কিছু শব্দ বা কথাও যোগ করা যায়। এতে ক্ষমা আরও প্রভাবশালী হয়ে ওঠে।
২০০৯ সালের একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে, উপহারের মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়া হলে তার প্রভাব আরও বেশি পড়ে। অনেক সময় শব্দ বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি কিছু লিখে ক্ষমা চাওয়া হয়, তবে তাও অনেক গুরুত্ব রাখে। তাই দীর্ঘ ও কঠিন শব্দ ব্যবহার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এক গবেষণায় দেখা যায়, যদি কেউ দীর্ঘ ও জটিল বাক্য ব্যবহার করে ক্ষমা চায়, তাহলে তা বেশি আন্তরিক মনে হয় এবং যে ক্ষমা নিচ্ছে তার জন্য তা বোঝা কঠিনও হয় না। বরং এতে ক্ষমা আরও প্রভাবশালী হয়ে ওঠে।
তাই ক্ষমা চাওয়ার দীর্ঘ ভাষা প্রয়োগ করে নিজের অনুশোচনাকে স্পষ্ট করার মাধ্যমে আন্তরিকতা বাড়ানো সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।