• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মা হওয়ার পর যেসব অভ্যাস ধরে রাখবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৩, ০৪:৪৪ পিএম
মা হওয়ার পর যেসব অভ্যাস ধরে রাখবেন

মা হওয়ার পরে একজন নারীর শারীরে অনেক পরিবর্তন আসে। পরিবর্তনের ঠিক এ সময়টাতেই বেশি যত্ন নিতে হবে মায়ের। যেন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস কিংবা হার্টের সমস্যা দেখা দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হওয়া যাবে না। চলুন আজ জেনে নেব সন্তান জন্মের পর একজন মা অবশ্যই কোন কোন অভ্যাসগুলো ধরে রাখবেন ভালো থাকার জন্য-

ব্যায়াম করুন
সন্তানকে বেশি সময় দিতে গিয়ে নিজের কথা ভুলে যান অনেকে। এ সময় মানসিক প্রশান্তি পেতে প্রতিদিন অল্প সময়ের জন্য ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে হবে। প্রথমে ২০ মিনিট হাঁটা দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। এরপর প্রতি সপ্তাহে ৫ মিনিট করে হাঁটার সময়টা বাড়ান। নিয়মিত হাঁটার পাশাপাশি সাঁতার ও যোগব্যায়ামও ওজন কমাতে বেশ কার্যকর। ব্যায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং কোন ধরনের ব্যায়াম আপনার উপযোগী তা অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে জেনে নেবেন।

খাবার খাওয়া
সন্তান জন্মের পর চিকিৎসকের দেওয়া ডায়েট চার্ট মেনে খাবার খেতে হবে। প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খেতে হবে। সকালের নাস্তা কখনোই বাদ দেওয়া যাবে না। বরং সকালে ভারি নাস্তা খেতে হবে। দুপুর ও রাতে তুলনামূলক কম খেতে হবে। দুপুর ও রাতের খাবারে শাকসবজি, মাছ, ডাল, মাংস খেতে হবে। তবে সবকিছুই খেতে হবে ডায়েট চার্ট মেনে। সকালে নাস্তার পর দুপুরের খাওয়ার মাঝে ফল খেতে পারেন। বিকেলে হালকা নাস্তা খেতে হবে।

মাসাজ নিন
বিভিন্ন স্পা ও ওয়েলনেস সেন্টারে বডি মাসাজ দেওয়া হয়। এছাড়া ঘরে বসেও দক্ষ লোককে দিয়ে মাসাজ করিয়ে নিতে পারেন। মাসাজ শরীরের ব্যাথা দূর করে, রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে, শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়, ক্লান্তি কাটায় এবং শরীরের আগের আকৃতি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত ঘুমান
পর্যাপ্ত ঘুম ওজন কমাতে সহায়তা করে। কম ঘুমালে শরীরে ক্লান্তি থেকে যায়। এই ক্লান্তি কাটাতে অনেকে বেশি খেয়ে ফেলেন। যার কারণে ওজন বেড়ে যায়। সন্তান জন্মের পর মায়েরা ঘুমানোর সময় পান না। তারপরও মাকে খানিকটা সময় বের করে নিতে হবে ঘুমানোর জন্য।

ফাস্ট ফুড ও মিষ্টি বাদ দিতে হবে
ফাস্ট ফুড একেবারেই খাওয়া যাবে না। মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। আর প্রচুর পানি খেতে হবে। রান্নায় মসলা কম দিতে হবে। সেদ্ধ ও কম তেলে রান্না করা খাবার খেতে হবে।

ক্রাশ ডায়েট করবেন না
পরিমিত না খেয়ে ডায়েট করা যাবে না। এতে শরীরের চর্বির চেয়ে মাংসপেশি ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া সুষম খাবার না খেলে পুষ্টির অভাবে মা ও সন্তানের নানা রোগ দেখা দিতে পারে। এ ধরনের ডায়েটে ওজন সাময়িকভাবে কমলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

Link copied!