দুর্নীতি ও নাশকতার পৃথক দুটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুদকের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এবং নাশকতার মামলায় বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম আপিল শুনানি শেষে খালাসের রায় দেন।
এর মধ্যে দুদকের মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে ছিল। আর নাশকতার মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন হাকিম আদালত।
আলতাফ হোসেন চৌধুরীর আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন বোরহান উদ্দিন খালাসের নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এ মামলায় দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে ২০ জন সাক্ষীকে হাজির করা হয়। আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে আজ এ মামলা থেকে আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে খালাস দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আলতাফ হোসেন চৌধুরী আদালতে হাজির ছিলেন।”
অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে ২০০১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আলতাফ হোসেন চৌধুরী নিজ নামে এবং স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার চৌধুরীর নামে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৫২ হাজার ৩০০ টাকার সম্পদ অর্জন-দখলে রেখে এবং সে তথ্য গোপন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২২ জুন এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। পরে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আলতাফের বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
নাশকতার মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ৪ জুন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকের সামনে রাস্তার ওপর ‘অবৈধ’ সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়। রাস্তার চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরে ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। মামলার বিচার চালাকালে সাত জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
গতবছর ২৮ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। সেখানে আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
 
                
              
 
																 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    




























