• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্কুলের চাপ নিতে বাচ্চার কষ্ট হচ্ছে?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২২, ১০:৪২ পিএম
স্কুলের চাপ নিতে বাচ্চার কষ্ট হচ্ছে?

পরিবার থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পায় সন্তানরা। এরপর শিক্ষার গণ্ডি বাড়াতে পাঠানো হয় স্কুলে। লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে উঠা কিংবা স্কুলের পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল করা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান অভিভাবকরা। তাদের মধ্যে হতাশা বেড়ে যায়। সন্তান মেধাবী নয়-এই আফসোসই করে যান। তবে ভেবে দেখেছেন, কেন আপনার সন্তান এমন অমনোযোগী হয়ে উঠছে। অমনোযোগী হওয়া মানেই কিন্তু সে মেধাবী নয় এটা ঠিক না। হয়তো একসঙ্গে অনেক চাপ  সামলাতে পারছে না বলেই সন্তানের ফলাফল খারাপ হচ্ছে। অমনোযোগী হয়ে উঠছে আপনার সন্তান। স্কুল বা বাড়ির চাপ সামলে নিতে শিশুর কষ্ট হলে অভিভাবকেরা কী করবেন তা নিয়েই থাকছে আজকের আয়োজন।

ভয় দেখাবেন না

সন্তান পড়া না পারলেই স্কুলে শাস্তি দেওয়ার বিধান উপযুক্ত, এমনটা ভাবা বন্ধ করুন। পরীক্ষার ফলাফল ভালো না হলে তাকে বকা দিবেন না, শাস্তি দিবেন না। বরং সন্তানের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন। শাস্তি দিলে সন্তান ভয় পাবে। এতে সে আরও দূর সরে যাবে। সন্তানের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে হবে। তার দুর্বলতা জানার চেষ্টা করুন। 

অতিরিক্ত নিয়ম চাপাবেন না 

সুশৃঙ্খল পরিবেশ সবারই কাম্য। সন্তানকেও সেভাবে মানিয়ে নিতে চাচ্ছেন? তবে তাকে কোনওভাবেই নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। অকারণে অতিরিক্ত কড়া হলে সন্তানের চাপ বেড়ে যায়। সন্তান যদি স্কুলের নিয়ম ও চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারে তবে তাকে সাহায্য় করুন। সন্তানের বন্ধু হলে মানসিক চাপ কমে যাবে।

অবহেলা করবেন না

সন্তানকে যে স্কুলে দিয়েছেন তার চাপ মানিয়ে নিতে পারছে না। এমনটা বুঝলেই ব্যবস্থা নিন। সন্তান মেধাবি নয় এটা ভাববেন না। বরং তার মেধা অনুযায়ী যেভাবে শেখানো যায় তা দেখুন। সন্তানের মেধা নিয়ে কোনো সন্দেহ করবেন না এবং তাকে কারও সামনে ছোট করবেন না।  ভালো কাজ বা ভালো দিকের প্রশংশা করতে হবে।

কারও সঙ্গে তুলনা করা যাবে না

নিজের সন্তানকে অন্যদের সন্তানের সঙ্গে তুলনা করবেন না। বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি অভিভাবকদের বড় ভুল। স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে কোনওভাবেই তুলনা করবেন না। বরং সন্তানের দুর্বলতা কাটিয়ে কীভাবে মেধা বিকশিত করা যায় খেয়াল রাখুন। 

Link copied!