• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বামীর যেসব আচরণে স্ত্রী কাঁদে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম
স্বামীর যেসব আচরণে স্ত্রী কাঁদে

নারী-পুরুষের মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে উঠে ভালোলাগা, ভালোবাসা থেকে। ভালোলাগা, ভালোবাসা উভয়কেই আনন্দে রাখে। সবসময় হাসিখুশির মাঝেই জীবন কাটে। মূলত এমনই চাওয়া থাকে উভয়ের। কিন্তু এরমাঝেও থাকে দ্বন্দ্ব। প্রেম, ভালোবাসা আর খুনসুটির মাঝেই হতে পারে অভিমান আর কোন্দল। পরিস্থিতি মাঝে মাঝে এমনটাই হয়ে যায় যে একে অন্যের কথাও সহ্য করতে পারেন না। তবুও স্বামীরা অনেকটাই নিজেকে সামলে নেন। কিন্তু স্ত্রীরা ইমোশন সামলাতে না পেরে কেঁদে দেন। 

স্ত্রীর চোখে পানি দেখতে কোনো স্বামীরই হয়তো ভালো লাগে না। তবুও স্বামীর বেফাঁস কর্মকাণ্ডের জেরে স্ত্রীর মনে বড়সড় আঘাত লাগতে পারে। এমনকী তাদের চোখ দিয়ে কান্নাও ঝরতে পারে অঝোরে। এমনকি এর কারণে সম্পর্কের বিচ্ছেদও হতে পারে। তাই বিপদ ঘটার আগেই কিছু কারণ সম্পর্কে জেনে নিন যার দরুন স্ত্রীরা কান্না করে। ভবিষ্যতে সুখী হওয়ার জন্য এইসব ভুল এখনই শুধরে নিন।

চিৎকার করা​

স্বামীরা কথায় কথায় স্ত্রীর উপর চিৎকার করে থাকেন। এক পর্যায়ে স্ত্রীরা নিজেকে ছোট ভাবতে থাকে। তাদের মনে জমা হয় কালো মেঘ। এরপরই হয়তো সে কেঁদে দিবেন। মনের মধ্যে সেই অভিমান থেকেই যায়। তাই স্বামীরা রাগে চিত্কার না করে মাথা ঠান্ডা রাখুন। যেকোনো কিছু বুঝিয়ে বলুন।

মদ্যপান করলে

স্ত্রীরা মদ্যপান পছন্দ করেন না বললেই চলে। তার প্রিয়জন মদ্যপান করলে সে এটা সহ্য করতে পারে না। বিশেষ করে স্বামী যদি প্রতিদিন আকণ্ঠ মদ্যপান করে বাড়ি ফিরেন, তাহলে পরিস্থিতি তো ঘোলাটে হবেই। তাই মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করাই উত্তম।

মতামতকে এড়িয়ে যাওয়া

সম্পর্কে দুজনের মতামতকেই প্রাধান্য দিতে হবে। স্বামীরা শুধু নিজের মতামতেই সব করেন। সেখানে নারীদের সিদ্ধান্তকে কমই প্রাধান্য দেন। এমন অবস্থায় স্ত্রীর মন খারাপ হতেই পারে। হয়তো এই কষ্ট বুকে নিয়ে নীরবেই কাঁদেন।

স্ত্রীর বাবা-মাকে সম্মান না দিলে

দুটি মানুষের সঙ্গে দুটি পরিবারেও সম্পর্ক হয়। তাই স্ত্রী যেমন স্বামীর বাবা মাকে শ্রদ্ধা আর সম্মান দিচ্ছেন। স্বামীরও তাই করা উচিত। স্ত্রীর বাবা মাকে সম্মান দেওয়া, তাদের খোজ খবর নেওয়া স্বামীর দায়িত্ব। কোনো স্ত্রী যদি তার স্বামীর কাছ থেকে তার অভিভাবকদের প্রাপ্য সম্মান না পান তখনই কান্নায় ভেঙে পড়েন। সুখের সংসারে এই বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ভালোবাসায় কমতি হলে

সম্পর্কের শুরু হয়েছিল ভালোবাসা থেকে। সেই ভালোবাসার যখন কমতি হয় তখন মন তো খারাপ হবেই। স্ত্রীর এই সাধারণ চাওয়া-পাওয়াও পূরণ করতে না পারলে মন তো খারাপ হবেই। তখনই হতাশ হন স্ত্রীরা। সেই হতাশা থেকেই নীরবে কাঁদতে শুরু করেন। তাই সম্পর্কের সুদিন টিকিয়ে রাখতে স্ত্রীকে নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করুন প্রতিনিয়ত।

Link copied!