শরীরের বাড়াতি মেদ ঝরাতে কী না করতে হয় মানুষের। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে সেই সুযোগ আর কই। তাই যত সহজ পদ্ধতি জানা থাকে, ততই ভালো। চলুন তাহলে আজ জেনে নেব কোনো কসরত না করেও শরীরের বাড়তি মেদ কীভাবে ঝরিয়ে ফেলা যায়।
জিরার পানি
জিরার ‘থার্মোকুইনান’ নামক যৌগটি পেটে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। এ ছাড়া জিরাতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগ পেটফাঁপা, গ্যাস, অম্বল কমাতে সাহায্য করে।
ইসবগুলের ভুসি
ইসবগুলের ভূসিতে ফাইবার অন্ত্রের জন্য ভালো। খাবার হজমেও সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুণ কাজ করে এই ইসবগুলের ভূসি। সামগ্রিকভাবে পেট ভালো থাকলে, তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে বিপাকের ওপর।
মৌরি ভেজানো পানি
মেদ ঝরাতে নিয়মিত মৌরি ভেজানো পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। মৌরি পেট ঠান্ডা রাখে। মৌরিতে থাকা যৌগগুলো অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে মৌরি ভেজানো পানি।
জোয়ান ভেজানো পানি
ভরপেট খাবার খাওয়ার পর একটু জোয়ান চিবিয়ে খেলে হজম হয়ে যায় তাড়াতাড়ি। পেটের ভেতর কোনোরকম ক্ষত সারাতেও জোয়ানের ব্যবহার রয়েছে আয়ুর্বেদ মতে। এ ছাড়া পেট ফাঁপার সমস্যাতেও দারুণ কাজ দেয় জোয়ান।
সবজির রস
গবেষকরা বলছেন, যাদের নিয়মিত শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের শরীরে মেদ জমার প্রবণতা কম। কারণ, ফাইবারসমৃদ্ধ সবজি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিপাকহারের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বিভিন্ন সবজির রস।