তিন বছর ধরে চলা রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। ইউক্রেনের সঙ্গে সরারসরি কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার রাতে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে শুরু করতে চাই (শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা)। আগামী ১৫ মে ইস্তাম্বুলে এটি হতে পারে। তবে কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই এটি হওয়া উচিত।’
পুতিন আরও বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে গুরুতর আলোচনার জন্য প্রস্তুত। সংঘাতের মূল কারণগুলোর সমাধান করা এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় পৌঁছানোই আমাদের লক্ষ্য।’
ফরাসি প্রেসিন্টে এমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, ‘ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের নেতারা পুতিনকে আগামী সোমবার থেকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই মস্কোর পক্ষ থেকে প্রস্তাবটি এলো।’
তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত পুতিনের প্রস্তাবের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘যেকোনো ধরনের চাপ মোকাবিলা করতে রাশিয়া সক্ষম। ইউরোপ আসলে খুব খোলামেলাভাবে আমাদের মুখোমুখি হচ্ছে। পুতিন সাধারণত যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করেন। তবে সাম্প্রতিক প্রস্তাব সম্পর্কে ‘‘অনেক প্রশ্ন’’ রয়েছে। সেসবের উত্তর প্রয়োজন।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে রাশিয়ার বাধার কারণে তিনি হতাশ। যদি যুদ্ধবিরতি না হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও তার অংশীদারেরা আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
ট্রাম্পের এমন পোস্টের পর দিমিত্রি পেশকভ সিএনএনকে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে ওয়াশিংটনের মধ্যস্ততা করার চেষ্টার জন্য রাশিয়া কৃতজ্ঞ। তবে আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করা একেবারেই অর্থহীন।’