আজ শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫, ০৯:৩৪ এএম
আজ শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা

আজ রোববার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মমতে, ২ হাজার ৫৬৮ বছর আগে বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ (বুদ্ধত্ব লাভ) ও মহাপরিনির্বাণ সংঘটিত হয়েছিল। দিনটির তাৎপর্যেই এর নাম ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’।

শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আজ দেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

দিনটি উদ্‌যাপন করতে বৌদ্ধ সম্প্রদায় আয়োজন করছে নানা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, শান্তি শোভাযাত্রা, বুদ্ধপূজা, শীলগ্রহণ, মহাসংঘদান, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ, আলোচনাসভা, সমবেত প্রার্থনা, প্রদীপ পূজা, আলোকসজ্জা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র দিনটি উপলক্ষে প্রচার করছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও নিবন্ধ।

উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর বাসাবোতে ঢাকা ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ এবং মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন আয়োজন করেছে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা।

সকাল ৮টায় বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজন করেছে জাতীয় জাদুঘর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত ‘শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রতি শোভাযাত্রা’।
গৌতম বুদ্ধের মূল জীবনদর্শন ছিল অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও সহাবস্থানের বাণী। তিনি বলেছিলেন, ‘বৈরিতা দিয়ে বৈরিতা কখনো প্রশমিত হয় না, প্রশমিত হয় শুধু অবৈরিতা ও অহিংসা দিয়ে।’

বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।

এ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে সব ধর্ম, জাতি ও বর্ণের মানুষ এখানে একসঙ্গে বসবাস করছে।’ তিনি গৌতম বুদ্ধের অহিংসা ও মানবকল্যাণের বাণী স্মরণ করে বলেন, ‘এই দর্শন বর্তমান বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আজও প্রাসঙ্গিক।’

Link copied!