আমের স্বাদ নিতে কে না চায়? কিন্তু কষ্টদায়ক হলেও সত্য যে, ডায়াবেটিস রোগীরা বেশি পরিমাণে আম খেলে বিপদ হাতের মুঠোয় চলে আসতে পারে। কারণ এতে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ অনেক বেশি। ব্লাড সুগারের রোগীর ক্ষেত্রে রক্তে অতি দ্রুত বেড়ে যায় শর্করা৷ তবে আমের গুণও অস্বীকার করা যায় না। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, বিটা ক্যরোটিন ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপকারী উপাদানে ঠাসা এই ফল। তাই নানা শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
মধুমেহ রোগীরা আমের টুকরা খেতে পারেন। তবে রস করে না খাওয়াই ভালো। রস বের করলে আমের ফাইবারসুলভ সব গুণ নষ্ট হয়ে যায়।
আমের সঙ্গে বাদামজাতীয় জিনিস খেতে হবে। তাহলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স দ্রুত বাড়বে না।
লাঞ্চ, ডিনারের আগে বা সঙ্গে অথবা ঠিক পরে আম খাবেন না ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ এক লাফে বেড়ে যাবে অনেকটাই।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের স্বল্প পরিমাণে আম খেতে হবে। দুই টুকরার বেশি আম কোনোভাবেই খাওয়া ঠিক হবে না।
সপ্তাহে এক বা দুইদিন আম খান। তবে নিয়মিত কখনোই আম খাবেন না।