• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মেনোপজ দেরিতে হওয়ার কারণ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৩, ০১:১০ পিএম
মেনোপজ দেরিতে হওয়ার কারণ

একটা বয়সের পর ঋতুবন্ধ খুব স্বাভাবিক ঘটনা। ৫০ বা তার ধারেকাছেই ঋতুবন্ধ হয় মূলত। অনেক নারী ঋতুবন্ধ হওয়ার সময় থেকেই নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন।


একটা বয়সে যেমন নারীর ঋতুস্রাব শুরু হয়, বয়সের আরেকটা সময়ে কিন্তু ঋতুবন্ধও হয়। জন্মের সময়ে প্রত্যেক নারীর ডিম্বাশয় প্রায় ১০ লাখ ডিম্বাণু থাকে। বয়স বাড়ার পর থেকেই শরীর এই ডিম্বাণুগুলোকে এক এক করে ছাড়তে থাকে, বয়স ৩০ পেরোনোর পর সংখ্যাটা কমতে শুরু করে। ৪০-এর পর আরও দ্রুত হারে কমে যেতে থাকে ডিম্বাণুর সংখ্যা। এর সঙ্গে কমে আসে সন্তানধারণের সম্ভাবনাও। ডিম্বাণু নিঃশেষিত হয়ে গেলে ডিম্বাশয়ে আর ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন ক্ষরিত হয় না। তখনই হয় ঋতুবন্ধ।

বছরখানেক টানা ঋতুস্রাব না হলে ধরে নিতে হবে যে ঋতুবন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্ত্রীরোগ চিকিৎসকদের মতে, নারীদের গড়ে ৫১ বছর বয়সে ঋতুবন্ধ হয়। মূলত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যই অধিকাংশ নারীর ‌ঋতুবন্ধ হয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই ধূমপান, গর্ভনিরোধকের অধিক ব্যবহার, বাড়তি ওজন ঋতুবন্ধ পিছিয়ে যায়।


পিছিয়ে যাওয়ার কারণ

যাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন উৎপাদনের ক্ষরণ বেশি, তাদেরও দেরিতে ঋতুবন্ধ হয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে অনেকবার যারা গর্ভধারণ হয়েছেন, তাদের ঋতুবন্ধ হয়েছে দেরিতে। জিনগত কারণে ঋতুবন্ধ দেরিতে হয় অনেকের ক্ষেত্রেই। যাদের মায়েদের ঋতুবন্ধ দেরিতে হয়েছে, সেই নারীদের ক্ষেত্রেও একই সম্ভাবনা থাকে।

বাড়তি ওজনের কারণে ঋতুবন্ধ পিছিয়ে যেতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত মেদ থাকলে সেই মেদ থেকে ইস্ট্রোজেন তৈরি হয় তাই স্বাভাবিকভাবেই ঋতুবন্ধ পিছিয়ে যায়।

Link copied!