• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত সুপ্রিম কোর্ট


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম
ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত সুপ্রিম কোর্ট
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার করা হবে কি না, তা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বিচারকদের বিভক্তির জেরে এ ব্যাপারে আরও জটিল সিদ্ধান্ত আসতে পারে মনে করা হচ্ছে। যা বিচার শুরুর প্রক্রিয়াকে আবারও বিলম্বিত করতে পারে। বিবিসির এক প্রতিবেদেন এ বিষয়টি উঠে এসেছে।

তবে সিদ্ধান্ত যা-ই হোক না কেন, প্রত্যেক বিচারকই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে জটিল এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের আগামী দিনের গণতন্ত্রের নতুন রূপ দেবে। বিচারক নেইল গরশুচ বলেছেন, “আমরা একটি যুগের জন্য রায় লিখছি।”

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট তিন ঘণ্টা ধরে বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে পর্যালোচনা করেছে যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচার থেকে দায়মুক্তি পাবেন কি না। আর এমন সুযোগ থাকলে তার মানে শেষ অবধি কী দাঁড়াবে?

অনেকে মনে করছেন, সেই প্রশ্নের জবাবই নির্ধারণ করবে, বিগত ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচকে নস্যাৎ করার চেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিচারের মুখোমুখি হবেন কি না।

বিষয়টি নিয়ে আদালতের নির্ধারিত যুক্তিতর্কের একদিন পর বিশেষ সেশনে মামলার শুনানি হয়েছে। যেখানে দাবি এটাই ছিল যে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্তব্যরত থাকার সময় ট্রাম্প যে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পাওয়ার যোগ্য।

আর সাবেক প্রেসিডেন্টের মতে, এই দায়মুক্তিই হবে স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের আনা অভিযোগ থেকে তার রক্ষাকবচ। দায়মুক্তির বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত বিচার স্থগিত থাকবে। আগামী জুনে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনেকেই দাবি করছেন, বিচারকরা যে প্রশ্ন তুলেছেন তা তাদের মধ্যে বিভক্তির একটি ইঙ্গিত মিলেছে। ফলে একটি বিভক্ত সিদ্ধান্তই আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যা অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম দেবে।

একটি পূর্ণ দায়মুক্তির অর্থ কি এই দাঁড়াবে যে ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্ট সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকেও মেরে ফেলতে পারেন? কিংবা এই দায়মুক্তি না থাকলে প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বিচারের মুখোমুখি হবেন বা জেলে যাবেন?

ষাটের দশকে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের ওয়াটেরগেট ঘটনা এবং জন এফ কেনেডির অপারেশন মনগুজের (ফিডেল কাস্ত্রোর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা অভিযান) ঘটনায় পাওয়ার বিষয়টিও তুলে আনছেন তারা। রক্ষণশীলরা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টদের কিছুটা দায়মুক্তি থাকা উচিত।

উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত বিচারপতি কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে, সাবেক প্রেসিডেন্টরা পুরো ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়ার বাইরে থাকলে তারাতো আইন নাও মানতে পারেন।

Link copied!