উৎসব আয়োজনগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই বেশি খাওয়া হয়ে যায়। বিশেষ করে ঈদে হরেক রকম খাবার তৈরি করা হয়। এটা-সেটা খেতে খেতে সবারই অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায়। আর অতিরিক্ত খাওয়ার পর শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে কী করবেন চলুন দেখে নিই—
- এ সময় রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই অতিরিক্ত খাওয়ার পর একটু হাঁটাহাঁটি করুন। এতে খাবার দ্রুত হজম হবে।
- পানি পান করুন একটু পরপর। এতে খাবারের মাধ্যমে শরীরে জমা হওয়া অতিরিক্ত লবণের মাত্রা কমবে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন ও শরীর আর্দ্র থাকবে।
- বেশি খাবার খাওয়ার পর কখনো শুয়ে পড়বেন না। ফলে খাবার হজম হবে না বরং অ্যাসিডিটি বেড়ে যাবে। পেট ফুলে যাবে, বুকে ব্যথা ও নিশ্বাস নিতে কষ্ট হবে।
- অতিরিক্ত খাওয়ার পর কখনো কোমল পানীয় পান করবেন না। ফলে গ্যাস্ট্রিক আরও বেড়ে যাবে। ফলে পেট আরও ভরা ভরা ও অস্বস্তি লাগবে।
- অনেকেরই অতিরিক্ত খাওয়ার পর বমি বমি ভাবসহ নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এমনটি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- মনে রাখবেন, খাওয়া শুরু করার ২০ মিনিটের মধ্যে মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে ওঠে, তাই প্রথম ১০ মিনিট খুবই ধীরে ধীরে খাবার খেতে হবে। একবার খাবার মুখে নিয়ে অনন্ত ৯০ বার চাবানো উচিত। ধীরে ধরে খাবার খেলে কম ক্যালরি গ্রহণ করা হয়। এর ফলে ওজনও কমে।
খাবার খাওয়ার সময় যখনই মনে হবে আপনি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেছেন, তখনই খাওয়া বন্ধ করুন। ভুলেও খাবার খাওয়ার সময় গল্প, ফোন ও টিভির মনিটরে তাকিয়ে থাকবেন না। এর ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয়। এক বেলা ভারী খাবার খেলে অন্য বেলায় কম ক্যালরি ও হালকা খাবার রাখুন।