• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শীত শেষের আগেই বেড়েছে সবজির দাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২, ০২:৪৯ পিএম
শীত শেষের আগেই বেড়েছে সবজির দাম

শীত শেষ হতে এখনো বেশ কিছুদিন বাকি। তবে এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের সবজির দাম। ব্রয়লার মুরগির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমলেও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেনি। ফলে বাজারে গিয়ে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বাজার ভেদে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, জালি লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

এছাড়া প্রতি কেজি পাকা টমেটো ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মূলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শালগম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা ও বরবটি ৫০ থেকে ৭০ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহে প্রতিটি সবজিই কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কম ছিল। কিন্তু শীতকাল শেষের দিকে হওয়ায় সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এখন দিন যত যাবে ততই বাড়বে সবজির দাম।

এদিকে অন্যান্য বছরের তুলনায় শীতকালীন সবজির দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তারা বলেন, এই বছর শীতকালীন সবজির দামও ছিল আকাশছোঁয়া। পরিস্থিতি যা দেখছি গ্রীষ্মে এবার সবজির বাজারে ঢুকাই দায় হয়ে যাবে।

সব ধরনের সবজির দাম বাড়লেও কিছুটা কমেছে আলুর দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দামও খুব একটা বেশি নয়। ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। প্রতি কেজি ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাক, দেশি রসুন ৫০ টাকা, দেশি আদা ৬০ টাকা এবং চীন থেকে আমদানি করা আদা ১০০ টাকা। 

গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। এছাড়া সোনালি জাতের মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।

মুরগি বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে। তবে যে কোনো সময় আবার দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।

এদিকে আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল, তেল, চিনি, ডিম, আটাসহ বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। বর্তমানে প্রতি কেজি চিকন মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা, আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা এবং ময়দা ৪০ টাকা।

এছাড়া খোলা সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণা ৪৫ টাকা এবং আটাশ ৪৮ টাকা।

ক্রেতারা বলছেন, বাজার করতে গেলেই নিম্ন আয়ের মানুষদের হিমশিম খেতে হয়। অথচ এগুলো দেখার কেউ নেই। যে যার মতো ইচ্ছামতো পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে। একবার কিছুর দাম বাড়লে সেটি কমানোরও আর কেউ কমায় না। সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয় না বলেই বাজারের এই হাল।
 

Link copied!