• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নিয়মিত বিছানার চাদর কেন বদলাবেন?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৩, ১১:১০ এএম
নিয়মিত বিছানার চাদর কেন বদলাবেন?

শরীর সুস্থ রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যেমন দরকার, তেমনি দরকার স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। যে বিছানায় আপনি ক্লান্ত শরীর ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে আরাম অনুভূতি নেবেন, সেই বিছানাতেই যদি জমে থাকে দৃশ্যমান অথবা অদৃশ্য ধুলো-ময়লা আর জীবাণুর আস্তরণ, তাহলে রোগবালাই আপনার লেগেই থাকবে। নিয়মিত বিছনা না ঝাড়লে ময়লা জমতে থাকে বিছানার চাদরে। খালি চোখে দেখা না গেলেও এসব ময়লা আমাদের ত্বক থেকে শুরু করে শ্বাসতন্ত্র, এমনকি আরও বেশ কিছু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

বিছানার চাদর
দুই সপ্তাহ পরপর বিছানার চাদর বদলানো উচিত। তবে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে তা কমবেশি সময় নেওয়া যেতে পারে। শীতকালে যেহেতু তাপমাত্রা কম থাকে, তাই ঘামও তৈরি হয় কম। সে সময় চাইলে একটু বেশি সময় একই চাদর রাখা যেতে পারে। কিন্তু গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে সম্ভব হলে প্রতি সপ্তাহেই বিছানার চাদর পরিবর্তন করা উচিত।

বদলানোর কারণ

ফলিকুলাইটিস 
নিয়মিত বিছানার চাদর না বদলালে তা থেকে হতে পারে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া থেকে সৃষ্ট রোগ ফলিকুলাইটিস। যার প্রভাবে শরীরের বিভিন্ন জায়গা লাল হয়ে ফুলে যায়।

ব্রণ 
ব্রণ হওয়ার পেছনে নোংরা চাদর-বালিশও একটি কারণ। চাদরে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া থেকেই মূলত ব্রণের সৃষ্টি হয়। তাই যাদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাদের বিছানার চাদর বদলাতে হবে ঘন ঘন। দাদ একধরনের চর্মরোগ, যা ছত্রাকের আক্রমণ থেকে হয়। এই রোগে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাল গোল চাকতির মতো সৃষ্টি হয়, যাতে প্রচণ্ড চুলকানি হয়ে থাকে।

ইম্পেটিগো 
ত্বকের এ ধরনের রোগে বিশেষত শিশুদের আক্রান্ত হতে দেখা যায়। স্ট্রেপটোকক্কাস-জাতীয় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এ ধরনের রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। এই ব্যাকটেরিয়া শরীরের যেকোনো ক্ষতস্থান দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে এবং ভেতরে বাসা বিস্তার করে। ছোটখাট এ ধরণের সমস্যা থেকে দেখা দিতে পারে বড় ধরণের কোনো অসুখ।

তাই বিছানার চাদর পরিবর্তন করে পরিষ্কার চাদর বিছিয়ে দিন নিয়মিত।

Link copied!