• ঢাকা
  • বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ মুহররম ১৪৪৬

অপরাধ দমনে ‘রোড মার্চ ফর রূপগঞ্জ’ কর্মসূচির ডাক


নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
অপরাধ দমনে ‘রোড মার্চ ফর রূপগঞ্জ’ কর্মসূচির ডাক

নারায়ণগঞ্জে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদকসহ সকল ধরণের অপরাধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘রোড মার্চ ফর রূপগঞ্জ’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টির প্রধান উপদেষ্টা সেলিম প্রধান।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে রূপগঞ্জের প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কর্মসূচির ডাক দেন।

সেলিম প্রধান বলেন, “ঐতিহাসিক বিপ্লব আমাদের দেশকে একটি নতুন স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি সেই স্বাধীনতার স্বাদের ছোঁয়া এখনও পাইনি রূপগঞ্জবাসী। এখানো এখানকার মানুষ মাদক, খুন, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং, ছিনতাই এবং দখলদারিত্বের ভয়ে অনিরাপদ। বাক স্বাধীনতাও হারিয়ে ফেলেছে। রূপগঞ্জ উপজেলার একজন সচেতন মানুষ হিসেবে বলতে চাই, এসব অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিস্তার সমাজের শান্তি ও স্বাভাবিক জীপনযাপনকে ব্যাহত করছে। জনগণের ঐক্য যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্ষম।

তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে প্রিয় মাতৃভূমির প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একজন দেশপ্রেমিক ও সংগ্রামী নাগরিক হিসেবে ‘ঐক্যবদ্ধ সুনাগরিক-ঐক্যবদ্ধ দেশ’ স্লোগানের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলাকে সকল প্রকার অপরাধ ও মাদকমুক্ত-নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সুনাগরিকবৃন্দকে সমগ্র দেশব্যাপী জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের মনে রাখতে হবে, এই ঐক্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা রক্ষা ও জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।”

বিগত সরকারের বেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “গোলাম দস্তগীর গাজী এই রূপগঞ্জকে এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তার বাইরে গিয়ে কথা বলার সাহস কারও ছিল না। যে মানুষ গাজীর বিরুদ্ধে কথা বলেছে, তাকেই তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছে। এছাড়াও আধিপত্য বিস্তারের জন্য হত্যাকাণ্ডের মতো নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে সে। তবে সরকার পরিবর্তনের পর, আমি রূপগঞ্জবাসীকে কথা দিচ্ছি রূপগঞ্জকে একটি মডেল নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। কিন্তু সেটা এককভাবে নয়, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।”

তিনি আরও বলেন, “২৪-এর অভ্যুত্থান ছিল ফ্যাসিবাদী সরকারের দমননীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সামগ্রিক প্রতিবাদ। ছাত্র-জনতার পূর্ব থেকেই আমি এই পতিত আওয়ামী লীগ সরকার এবং তার দোসরদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। গোলাম দস্তগীর গাজী, শামীম ওসমানসহ তাদের অগণিত অপরাধের দোসরদের বিরুদ্ধে আমি দীর্ঘদিন একাই অবিচল সংগ্রাম করে গিয়েছি।”

সেলিম প্রধান বলেন, “আমি বিপ্লবী রূপগঞ্জবাসীকে আমার পাশে চাই। সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ, সহযোগিতা ও দৃঢ় সমর্থনে আমরা একত্রে রূপগঞ্জকে শান্তি ও স্বস্তির মডেল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। আর এভাবেই শান্তি ও স্বস্তির মডেল উপজেলা রূপগঞ্জকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে বদলে যাবে সমগ্র দেশ, এই আমার লালিত স্বপ্ন। ‘ঐক্যবদ্ধ সুনাগরিক-ঐক্যবদ্ধ রূপগঞ্জ’র ভিত্তিতে রূপগঞ্জকে শান্তি ও স্বস্তির মডেল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং অপরাধ, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত দেশ গড়তে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে এই মা-মাটি এবং আপনাদের সন্তান হিসেবে আগামী ১৮ই জুলাই শুক্রবার সকাল ১০টায় ‘রোড মার্চ ফর রূপগঞ্জ’ কর্মসূচির ডাক দিচ্ছি। রূপগঞ্জের প্রতিটি সাহসী দেশপ্রেমিক নাগরিককে এই কর্মসূচি সফল করতে ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”

Link copied!