বর্ষাকালে বৃষ্টির কবল থেকে বাঁচাতে পারে রেইনকোট। বৃষ্টির পানিতে ভিজলে শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। এই সময় সুরক্ষা নিশ্চিতে একটি ভালো রেইনকোট থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই বৃষ্টির উপযোগী রেইনকোট কেনার সময় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
একটি ভালো রেইনকোটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তার উপাদান। পলিয়েস্টার হালকা, টেকসই এবং জল প্রতিরোধী। দৈনন্দিন ব্যবহারে উপযুক্ত। নাইলন আরও হালকা ও সহজে ভাঁজযোগ্য। ট্র্যাভেল ফ্রেন্ডলি হলেও অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী হয় না। পলিভিনাইল ক্লোরাইড সম্পূর্ণ জলরোধী, কিন্তু বাতাস চলাচল করতে না পারায় গরম লাগে। গোর-টেক্স আধুনিক ও উন্নতমানের উপাদান যা পানিরোধী এবং বাতাস চলাচলে সহায়ক। বিশেষত যারা বাইক বা ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করবেন, তাদের জন্য আদর্শ।
রেইনকোটের ডিজাইন শুধু ফ্যাশনের জন্য নয়, কার্যকারিতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। লম্বা রেইনকোট পুরো শরীর ঢেকে রাখে। অফিসগামী বা পায়ে হাঁটা মানুষের জন্য ভালো। জ্যাকেট টাইপ রেইনকোট শর্ট, হালকা এবং চলাফেরার জন্য সুবিধাজনক।পোনচো খুব হালকা ও সহজে গায়ে পরার উপযোগী, কিন্তু বাতাসে উড়ে যেতে পারে। বাইক রেইনকোট সামনের দিকে ছাতা বা শেডযুক্ত থাকে এবং পা পর্যন্ত ঢেকে রাখে।
রেইনকোটের সেলাই ও জিপার দেখে কেনা জরুরি। ওয়াটারপ্রুফ টেপ সেলাই রেইনকোটের সেলাইয়ের জায়গাগুলো থেকে পানি ঢোকার ঝুঁকি থাকে। তাই ওয়াটারপ্রুফ টেপ সেলাইযুক্ত রেইনকোট বেশি কার্যকর। ওয়াটারপ্রুফ জিপার সাধারণ জিপার দিয়ে পানি ঢুকে পড়ে। তাই বিশেষভাবে প্রলিপ্ত বা কভারযুক্ত জিপার থাকা উচিত।
মাথা সঠিকভাবে ঢেকে রাখার জন্য রেইনকোটে হুড থাকা অত্যন্ত জরুরি। ড্রস্ট্রিং থাকলে ভালো ফিট হয়। হাতা বা কফে ভেলক্রো বা ইলাস্টিক থাকলে হাতা দিয়ে পানি ঢোকা আটকাতে সাহায্য করে।
অনেক সময় রেইনকোটের ভিতরে ঘাম জমে অস্বস্তি সৃষ্টি করে। তাই এমন রেইনকোট বেছে নিন যেখানে কিছুটা ভেন্টিলেশন থাকে।
হালকা ও সহজে ভাঁজযোগ্য রেইনকোট বেশি সুবিধাজনক, কারণ তা ব্যাগে সহজে রাখা যায়।৷ অনেক রেইনকোটেই নিজস্ব পাউচ বা কভার থাকে, যা ভ্রমণের জন্য দারুণ উপযোগী।
উজ্জ্বল রঙের রেইনকোট যেমন হলুদ, লাল বা কমলা—বৃষ্টির দিনে কম আলোতেও দৃশ্যমান থাকে। যদি রাতে চলাচল করেন, তবে রিফ্লেক্টিভ স্ট্রিপ থাকলে নিরাপদ।
ভালো মানের একটি রেইনকোটের দাম পড়তে পারে ৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। যা নির্ভর করবে ডিজাইন ও উপকরণের উপর।