• ঢাকা
  • বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ মুহররম ১৪৪৬

মুক্তিপণ দিয়েও শেষ রক্ষা হলো না, মিলল সন্তানের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
মুক্তিপণ দিয়েও শেষ রক্ষা হলো না, মিলল সন্তানের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মুক্তিপণ দিয়েও আইয়ান সাদাবকে (৫) বাঁচাতে পারেনি পরিবার। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) নিখোঁজের চারদিন পর বাড়ির পাশে জঙ্গল থেকে দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

এর আগে গত শুক্রবার (১১ জুলাই) উপজেলার পাগলা থানার পাঁচবাগ ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামের নানাবাড়ি থেকে প্রবাসী আল আমিনের ছেলে আইয়ান সাদাব নিখোঁজ হয়। 

সাদাবের বাড়ি পার্শ্ববর্তী নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বারগুড়িয়া গ্রামে। বাবা বিদেশে থাকায় মায়ের সঙ্গে নানাবাড়িতে থাকত সে।

নিহতের চাচা খলিল মিয়া জানান, মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশী সোহাগ মিয়া বাড়ির পশ্চিম পাশে গরু চড়াতে গিয়ে মরদেহের সন্ধান পান।

সোহাগ মিয়া বলেন, “ঘাস খাওয়াতে পুকুর পাড়ে গরুকে বেঁধে রাখি। কিন্তু গরু ঘাস না খেয়ে লাফালাফি শুরু করে। এ সময় পাশে জঙ্গল থেকে পচা গন্ধ আসে। পরে দেখি দুই জায়গায় মরদেহের দুটি খণ্ড পড়ে আছে। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে সাদাবের মরদেহ শনাক্ত করে।” 

নিহতের নানা সুলতান মিয়া বলেন, “মুক্তিপণ দিয়েও নাতিকে বাঁচাতে পারলাম না। ওরা আমার অবুঝ নাতিকে মেরেই ফেলল। তিনি আরও জানান, গত শনিবার (১২ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে অপরিচিতি একটি ফোন নাম্বার থেকে সাদাবের মায়ের কাছে প্রথমে ২০ হাজার এবং পরে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পরে দুই দফায় ৪৮ হাজার টাকা বিকাশে পাঠানো হয়। অপহরণকারী আমাকে ফোনে বলেছিল টাকা পেলে নাতিকে জীবিত গফরগাঁও রেলস্টেশন রোডের জামতলী মোড় সিএনজি স্ট্যান্ডে রেখে যাবে। কিন্ত এখন নাতির লাশ পেলাম।”

এ বিষয়ে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম বলেন, “শিশুটির খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

Link copied!