• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ব্যাগের ভারে বাড়ছে কাঁধের ব্যথা? জেনে নিন সমাধান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৩, ০১:৪৮ পিএম
ব্যাগের ভারে বাড়ছে কাঁধের ব্যথা? জেনে নিন সমাধান

বাইরে বেরোলেই একটি ব্যাগ প্রয়োজন হয় আমাদের। তাতে ল্যাপটপ থেকে শুরু করে টুকিটাকি জিনিসপত্র নিলেই ব্যাগ হয়ে যায় ভারী। বিশেষ করে অফিসগামীদের কাছে খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে এই ভারী ব্যাগ। তারপর ভিড় ঠেলে ট্রেনে, বাসে ঝুলতে ঝুলতে অফিসে পৌঁছানো এবং আবার একইভাবে ঘরে ফেরা। অফিসে গিয়ে কম্পিউটারের সামনে একটানা বসে থাকা তো আছেই। এতে করে ঘাড়ের হাড় ও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের জীবনযাত্রার অনিয়মের কারণে ঘাড়ব্যথায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সমস্যা হলো, এই ব্যথা একবার শুরু হলে আর থামতে চায় না। এমনকি ব্যথার মলমও নিস্তার দিতে পারে না। চলুন তাহলে জেনে নিই কয়েকটি ঘরোয়া টোটকাতে কীভাবে এই ব্যথা কমানো যায়—

ব্যাগের ভার কমাতে হবে​
ভারী ব্যাগ নিয়ে দীর্ঘ সময় বহন করলে তো ঘাড়ে ব্যথা হতে বাধ্য। তাই ব্যাগের ভার কমান। অফিসের ল্যাপটপ অফিসেই রেখে আসুন। এতে ব্যাগের ওজন অনেকটাই কমে যাবে। আর একান্তই ল্যাপটপ নিয়ে যাতায়াত করতে হলে ব্যাগ বেশিক্ষণ পিঠে রাখবেন না। ব্যাগ রাখুন বাস বা ট্রেনের ব়্যাকে। এতে পিঠের বোঝা কমবে। ব্যাগ কখনো এক কাঁধে নয়, বদল করে দুই কাঁধে পালাক্রমে নেওয়ার চেষ্টা করুন।

হালকা ম্যাসাজ করুন
ঘাড়ে ব্যথা হলে হালকা ম্যাসাজে অনেকটাই কাজ হয়। এ ক্ষেত্রে কাজের ফাঁকে কিছুটা সময় বের করে ব্যথার জায়গাটা আলতো করে ম্যাসাজ করুন। আসলে ম্যাসাজ করলে সেই জায়গায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ফলে ব্যথা ও প্রদাহ দুই-ই কমে। এ ছাড়া গবেষণা থেকে জানা যায়, ম্যাসাজ করলে মস্তিষ্কে ভালো অনুভূতির হরমোনগুলো সক্রিয় হয়। সেই কারণেও ব্যথা কমতে সময় লাগে না। তাই সময় পেলেই এক-আধটু ম্যাসাজ করুন।

ঠান্ডা-গরম সেঁক দিতে হবে​
ব্যথার সমস্যায় কার্যকরী হলো ঠান্ডা-গরম সেঁক। তাই প্রাচীনকাল থেকেই যন্ত্রণা কমাতে এই কৌশল ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথমে কিছুক্ষণ গরম সেঁক দেওয়ার পর ঠান্ডা সেঁক দিন। এতে ঘাড়ে ব্যথা কমবে। এমনকি বাড়বে রক্ত চলাচলও। তাই এখন থেকে ঘরে ফেরার পর নিয়মিত সেঁক দিতে শুরু করুন।

কাজের ফাঁকে উঠে দাঁড়ান​
একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করে ২০, ২০, ২০ রুল ফলো করুন। এ ক্ষেত্রে ২০ মিনিট একনাগাড়ে কাজ করার পর ২০ সেকেন্ডের জন্য উঠে ২০ পা হাঁটার চেষ্টা করুন। এতে ঘাড়ের ব্যথা কমবে। তাই এই নিয়মটা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। 

ঘাড়ের কিছু ব্যায়াম করা অবশ্যই জরুরি​

  •  প্রথমে ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে ৫ বার ঘাড় ঘোরান, তারপর ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ৫ বার ঘাড় ঘোরান। এভাবে ৫টা সেট করুন।
  • ঘাড় একবার সামনের দিকে আর একবার পেছনের দিকে নিয়ে যান। এভাবে ১০ বার করুন। তারপর ১০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিন। তারপর পুনরায় করতে হবে। এভাবে ৫ সেট করুন। এতেই দেখবেন ব্যথা ও ফোলা কমেছে।

এরপরও সমস্যা না কমলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Link copied!