বিদ্যুতে সাশ্রয়ী হতে এর সদ্বব্যবহার প্রয়োজন। প্রতিদিনের প্রতিটি কাজেই বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই এর চাহিদাও বেড়েছে কয়েকগুণ। চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় এখন লোডশেডিংয়ের বেড়াকলেও পড়তে হচ্ছে। দিনে অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিদ্যুতই থাকে না। তাই যথাসম্ভব বিদ্যুতের সদ্বব্যবহার করে চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যতা করতে বলেছে সরকারও।
বিদ্যুতের ব্যবহারে লাগাম টানতে বিল সিস্টেমের পরিবর্তে চালু হয়েছে প্রিপেইড মিটার। অধিকাংশ বাড়িতেই এখন প্রিপেইড মিটার সিস্টেম চালু হয়েছে। বাড়িতে প্রিপেইড মিটার চালু হলেও এর ব্যবহার সম্পর্কে এখনও অনেকেই অস্পষ্ট। জানেন না কীভাবে এটি মেইনটেইন করতে হয়। আজকের আয়োজনে বৈদ্যুতিক প্রিপেইড ডিজিটাল মিটার ব্যবহারের কিছু তথ্য জানাব।
- বৈদ্যুতিক প্রিপেইড ডিজিটাল মিটারে প্রথমবার ১০০০ টাকা রিচার্জ করলে আপনি পাবেন ৭৯২ টাকা। কারণ মিটার পরীক্ষার সময় আপনাকে প্রথমেই ১০০ টাকা মিটারের সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রথম ১ বার ১০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। এছাড়াও ডিমান্ড চার্জ আগে প্রতি কিলো ওয়াট লোডের জন্য ছিল ২৫ টাকা। কিন্তু এখন ডিজিটাল মিটারের ক্ষেত্রে ১৫ টাকা (প্রতি মাসে এক বার করে কাটবে)। মিটার ভাড়া প্রতি মাসে এক বার ৪০ টাকা, সরকারি ভ্যাট ৫% এবং সার্ভিস চার্জ ১০ টাকা (প্রতি মাসে একবার)। সবকিছু মিলে ৭৯২ টাকার বিদ্যুত ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক।
- প্রথম ১০০০ টাকার কার্ড রিচার্জে ৭৯২ টাকা দেখাবে। তবে ওই মাসেই যদি আবারও ১০০০ টাকা রিচার্জ করা হয় শুধু সরকারি ভ্যাট ৫% কেটে নিবে। বাকি টাকা মিটারে রিচার্জ হয়ে যাবে।
- বৈদ্যুতিক প্রিপেইড ডিজিটাল মিটারে আপনি কত ইউনিট ব্যবহার করেছেন তা জানার জন্য ৮০০ চাপুন। আপনার মিটারে কত টাকা জমা আছে তা জানতে ৮০১ চাপুন। ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স জানতে ৮১০ চাপুন। এছাড়াও মিটারটি চালুবা বন্ধ করতে ৮৬৮ চাপতে হবে।
- আপনার বৈদ্যুতিক প্রিপেইড ডিজিটাল মিটারটি কত কিলোওয়ার্টের তা জানতে ৮৬৯ চেপে নিন।