আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। হাট বসার আগেই বিভিন্ন ফার্ম থেকে কোরবানির পশুর বেচাকেনা চলছে। এসব পশু বিক্রি হয় লাইভ ওয়েটে। অর্থাৎ পশুর মোট ওজন অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে কোরবানির পশু কেনা হচ্ছে। সময় স্বল্পতা আর হাটের জটিলতা এড়াতে অনেকেই এখন লাইভ ওয়েটে কোরবানির পশু কেনাকে বেছে নিচ্ছেন। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অভিনব এই পদ্ধতি। কারণ এটি স্বচ্ছতা, নির্ভরযোগ্যতা এবং ন্যায্য মূল্যের একটি আধুনিক বিকল্প।
লাইভ ওয়েট কী
লাইভ ওয়েট মানে হচ্ছে পশু জীবিত অবস্থায় যেটুকু ওজন বহন করছে, সেটি হিসাব করে তার মূল্য নির্ধারণ করা। প্রতি কেজি ওজনের জন্য একটি নির্দিষ্ট টাকা ধরা হয়। যেমন, যদি গরুর ওজন হয় ৩০০ কেজি এবং প্রতি কেজির দাম ধরা হয় ৪০০ টাকা, তাহলে গরুটির দাম হবে ৩০০ × ৪০০ = ১,২০,০০০ টাকা।
লাইভ ওয়েটে পশু কেনার সুবিধা
লাইভ ওয়েটে পশু কেনার অনেক সুবিধা রয়েছে। বিশেষ করে যারা কোরবানির হাটে গিয়ে হিমশিম খান, কিংবা কোরবানির পশু কেনার অভিজ্ঞতা কম তাদের জন্য এটি সেরা বিকল্প হতে পারে। কারণ এতে স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা থাকে। ওজন অনুযায়ী দাম হওয়ায় ঠকে যাওয়ার শঙ্কা কম থাকে।
অনেক প্রতিষ্ঠান ও খামার আধুনিক যন্ত্রে ওজন মেপে রসিদ প্রদান করে। হিসাব অনুযায়ী মাংস ভাগ করা সহজ হয়। অতিরিক্ত দাম না গুনে নির্দিষ্ট মানের পশু পাওয়া যায়।
ভাগে কোরবানি যারা করেন তাদের জন্যেও এই পদ্ধতি সুবিধাজনক হতে পারে। কারণ লাইভ ওয়েট পদ্ধতিতে কোরবানি পশুর মাংস সমানভাবে ভাগ করা সহজ হয়। যেমন, ৪০০ কেজি ওজনের গরু সাতভাগে ভাগ করলে প্রতিটি অংশ ৫৭ কেজি করে হবে। এই পদ্ধতিতে সবার ভাগে সমান ওজনের মাংস পাওয়া সম্ভব হয়।