নির্বাচনে ভোট চুরির অভিযোগে টাঙ্গাইলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল, স্থানীয় ৫ সাংবাদিকসহ ১৯৩ জনের নামে করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
বুধবার (২১ মে) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভূঞাপুর উপজেলা আমলি আদালতে বাদী কামরুল হাসান মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক রুমেলিয়া সিরাজাম মামলার বাদী ও তার আইনজীবীর বক্তব্য শুনে মামলাটি নথিজাত করার আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল আদালতের পরিদর্শক মো. লুৎফর রহমান বলেন, আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রুমেলিয়া সিরাজাম মামলার বাদীর বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন এবং বাদীপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনেন। অতঃপর আদালত মামলাটি নথিজাতের আদেশ দেন। এতে মামলাটি আর চালানোর প্রয়োজন রইল না।
জানা যায়, গত সোমবার ওই আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী কামরুল হাসান উপজেলার অলোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। মামলায় তিনি স্থানীয় পাঁচ সাংবাদিককে আসামি করায় সমালোচনার মুখে পড়েন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন মঙ্গলবার দিনভর নানা নাটকীয়তার পর মামলা থেকে পাঁচ সাংবাদিকের নাম বাতিল চেয়ে বাদী আদালতে অনাপত্তিপত্র দেন।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু রায়হান খান বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ডামি ও ভোট চুরির নির্বাচন আখ্যা দিয়ে করা মামলাটি বাদী প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ১৯ মে করা মামলায় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট মোট ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি নিয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী কামরুল হাসান জানান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফার করা মামলাটি প্রত্যাহার করতে বলেছেন। প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি বিএনপির ওপর মহল থেকে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।