মাছ বা মাংসের বিরিয়ানি হরহামেশাই হয়ে থাকে আপনার কিচেনে। স্বাদ বদলের জন্য বিরিয়ানী বা একটু ভিন্নরকম খাবার তৈরি করে খেয়ে থাকলেও মাঝে মাঝে মুখরোচক এই বিরিয়ানীতেও বদল আনতে পারেন স্বাদের। আর সেজন্য তৈরি করে ফেলতে পারেন ডিম বিরিয়ানি। চাইলে খুব সহজেই তৈরি করা যায় এটি। চলুন জেনে নিই রেসিপি-
যা যা লাগবে
- সেদ্ধ ডিম ৬টি
- পেঁয়াজকুচি ১ কাপ
- পেঁয়াজবাটা ৩ টেবিল চামচ
- আদাবাটা ১ টেবিল চামচ
- রসুনবাটা ১ টেবিল চামচহলুদের গুঁড়া আধা চা চামচ
- জিরাবাটা ১ চা চামচ
- দারুচিনি ২টি
- এলাচ ৪টি
- তেজপাতা ২টি
- গরম মসলা পাউডার আধা চা চামচ
- টকদই আধা কাপ
- কাঁচা মরিচ বাটা ২ চা চামচ
- পোস্ত দানা, কিসমিস ৭-৮ টি
- জয়ত্রি, জয়ফল বাটা মিলে ২ চা চামচ
- লেবুর রস ১ টেবিল চামচতেল আধা কাপ
- ঘি ১ টেবিল চামচ
- লবণ স্বাদমতো ও
- পেঁয়াজ বেরেস্তা সামান্য।
যেভাবে রাঁধবেন
প্রথমেই প্যানে তেল গরম করে দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ লাল করে ভাজা হলে এতে হলুদের গুঁড়া, পেঁয়াজবাটা, আদাবাটা, রসুনবাটা জিরাবাটা, টকদই, লবণ, পোস্ত দানা, কিসমিস, জয়ত্রি, জায়ফল বাটা, গরম মসলা পাউডার, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ দিয়ে মসলা খুব ভালোভাবে কষিয়ে নিন।
এবার সেদ্ধ ডিম এই মসলার সঙ্গে মিশিয়ে নিন, সঙ্গে আধা কাপ গরম পানি দিয়ে দিন। তারপর নাড়াচাড়া করে রান্না করুন। ওপরে কয়েকটা কাঁচা মরিচের ফালি করে দিয়ে দিন। নামানোর আগে পেঁয়াজ বেরেস্তা ও ঘি ছিটিয়ে নিন।
এবার অন্য একটি পাত্রে চালগুলোকে সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। চাল বেশি সেদ্ধ করা যাবে না। বেশি সেদ্ধ হলে বিরিয়ানি ঝরঝরে হবে না। একটি চ্যাপ্টা হাড়িতে প্রথমে কিছু ভাত ঢালুন।
এরপর লেবুর পিস ছড়িয়ে দিন। এর ওপর রান্না করা ডিম এর কোরমা আর ঝোল ছড়িয়ে দিতে হবে। ঝোলের সঙ্গে বেরেস্তা ছিটিয়ে দিন। আবার রান্না করা ভাত দিয়ে তার ওপর অল্প করে রং ছিটিয়ে দিন। কাঁচা মরিচ আর বেরেস্তা ছিটিয়ে দিন।
একটি হাড়িতে গরম পানি দিয়ে তার ওপর বিরিয়ানির হাড়ি দিয়ে রাখতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন ভাপ যেন কোনোভাবে বের না হয়। ময়দার ডো তৈরি করে হাড়ির মুখ বন্ধ করে দেয়া যাবে। সবশেষে ২০ মিনিট পরে তুলে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।