• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পর্যটকসহ সাবমেরিন নিখোঁজ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩, ১২:২৩ পিএম
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পর্যটকসহ সাবমেরিন নিখোঁজ

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পর্যটকদের সমুদ্রের তলদেশে নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি সাবমেরিন আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ হয়েছে। সোমবারের এই ঘটনার পর ওই সাবমেরিনের সন্ধানে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। তবে এখনো এটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, সাবমেরিটিতে আর মাত্র ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন অবশিষ্ট রয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, রোববার সমুদ্রের নিচে যাওয়ার ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই ডুবোজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। তবে নিখোঁজ হওয়ার সময় সাবমেরিনটিতে কতজন পর্যটক ছিলেন তা জানা যায়নি।

ওশেনগেট কোম্পানির এ সাবমেরিনটিতে সাধারণত চার দিনের জরুরি অক্সিজেন থাকে। ফলে সময় যত গড়াচ্ছে নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মুগের বলেছেন, আমরা ধারণা করছি এ মুহূর্তে ৭০ থেকে ৯৬ ঘণ্টা সময় (অক্সিজেন) আছে। নিখোঁজ সাবমেরিনটি আকারে একটি ট্রাকের সমান। পাঁচজন যাত্রী বহনে সক্ষম এতে সর্বোচ্চ চার দিনের জরুরি অক্সিজেন মজুদ থাকে।

পর্যটকরা সাবমার্সিবল ব্যবহার করে সাগরের তলদেশে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে যান। ওশানগেট এক্সপেডিশন্স নামের একটি বেসরকারি কোম্পানি জনপ্রতি আড়াই লাখ মার্কিন ডলারে আট দিনের প্যাকেজে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে নিয়ে যায়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকারও বেশি। সাবমেরিনটি সমুদ্রের ৩ হাজার ৮০০ মিটার গভীরে যেতে পারে। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে রয়ে গেছে টাইটানিক।

১৯১২ সালে দুই হাজার ২০০ যাত্রী নিয়ে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হয়ে বরফখন্ডের আঘাতে ডুবে যায় ঐতিহাসিক জাহাজ টাইটানিক। দেড় হাজার যাত্রীর করুণ মৃত্যু হয়। ১৯৮৫ সালে এসে জাহাজটির সন্ধান মেলে। এরপর থেকেই এটি নিয়ে আগ্রহ দুনিয়াজোড়া।

Link copied!