• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

এবার নেতানিয়াহুকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বাইডেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৪, ০১:২২ পিএম
এবার নেতানিয়াহুকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বাইডেন
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলে অস্ত্র গোলাবারুদ পাঠানো বন্ধ করার পর এবার রাফায় হামলা বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফোনকলে বাইডেন রাফায় অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার বিষয়টি আবারও পরিষ্কার করেছেন। হোয়াইট হাউজের লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলা হয়েছে।

এর আগে সোমবার (৬ মে) হামাস মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতির খসড়া চুক্তি মেনে নিয়েছে বলে জানায়। সেই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চুক্তিতে ইসরায়েলের শর্ত মানা হয়নি দাবি করে আবারও রাফায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।

এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকেফোন করে রাফায় অভিযানের বিরোধিতা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার (৭ মে) টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

অন্যদিকে, হোয়াইট হাউজের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাইডেন ফোনকলে “রাফায় অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার বিষয়টি আবারও পরিষ্কার করেছেন।”

রাফায় হামলা শুরুর আগে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়ার একটি গ্রহণযোগ্য পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বারবার ইসরায়েলকে তাগাদা দিলেও দেশটি এখন পর্যন্ত সেই অনুরোধ রাখেনি।

হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কার্বি জানান, রাফার বেসামরিক মানুষ ঝুঁকিতে থাকবে এরকম কোনো স্থল অভিযানকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। এর আগে পর্যন্ত হোয়াইট হাউজ বলছিল, রাফায় ‘বড় ধরনের’ অভিযানের বিরোধিতা করছে ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকদের মতে, এবার আরও কড়া ভাষায় ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন। কিন্তু নেতানিয়াহু রাফা অভিযানকে অত্যাবশ্যক বলে দাবি করেছেন। তার মতে, হামাসকে নির্মূল করতে এই অভিযান জরুরি। কারণ রাফায় হামাসের অনেক যোদ্ধা লুকিয়ে আছেন। নেতানিয়াহু আরও দাবি করেছেন, রাফাহ শহরে হামাসের চারটি ব্যাটেলিয়ন রয়েছে, যাদের ধ্বংস না করা পর্যন্ত বিজয় অর্জন হবে না।

জন কার্বি জানিয়েছেন, ফোনকলে বাইডেন রাফাহ অভিযান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, গাজায় আটকে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের জীবনকে সুরক্ষিত করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মতি দেওয়া। জন কার্বি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেন, “আমরা জিম্মিদের মুক্ত করতে চাই। আমরা ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চাই এবং মানবিক সহায়তা বাড়াতে চাই।”

Link copied!