বিট শীতকালীন সবজি। আমদের দেশে এখনো পর্যন্ত এই সবজিটি তেমন একটা জনপ্রিয় নয়। যদিও অনেকের কাছেই পরিচিত। এর পুষ্টিগুণ অসাধারণ। যারা এর উপকার সম্পর্কে জানেন তারা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখেন। বিদেশি সবজি হলেও আমাদের দেশেও পাওয়া বেশ সহজলভ্য। চলুন আজ জেনে নেব বিটের পুষ্টিগুণ ও উপাকারিতা সম্পর্কে-
বিটে অতিমাত্রায় নাইট্রেটস রয়েছে। আমাদের মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে এসে এই নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। লিভারের টক্সিন বের করে এর ফাংশনকে ভালো রাখে।
এটি বদহজম ছাড়াও পেটের অন্যান্য রোগ যেমন-জন্ডিস, ডায়রিয়া, প্রভৃতি রোগের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। বিটে হাই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকার ফলে শরীর থেকে টক্সিন বের করে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
এই সবজি বিপাকের সমস্যা দূর করে হজমশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমিয়ে দেয়। এর জন্য বেশি করে বিটের শরবত খাওয়া উচিত। ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করে এবং রক্তস্বল্পতা পূরণে এর তুলনা নেই।
এটি হাড়ের যেকোনো সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে। গবেষকরা বলছেন, বিটে থাকা বিটেইন ও ট্রিপটোফোন নামক উপাদান মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই মন খারাপের অন্যতম ওষুধ বিটের শরবত। ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে অ্যানিমিয়া, উচ্চ রক্তচাপ ও থাইরয়েডের মতো সমস্যার ক্ষেত্রেও বিট অনেক উপকারী।
এছাড়া বিটরুটের ১০-৩০ মিলিলিটার ক্বাথ সকালে খাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে এবং রাতে ঘুমানোর সময় পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিটরুটের রস ব্যবহার করলে ত্বক সুন্দর হয়। এটি ত্বকের প্রদাহ দ্রুত নিরাময়েও কাজ করে।
তাই, এই শীতে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন উপাদান সমৃদ্ধে এই বিটরুট খেতে পারেন।