• ঢাকা
  • সোমবার, ০৪ আগস্ট, ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ৯ সফর ১৪৪৬

আয়ু বাড়বে যেসব অভ্যাসে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
আয়ু বাড়বে যেসব অভ্যাসে
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘায়ু পাওয়া মানুষের চিরন্তন কামনা। শুধু দীর্ঘ জীবন নয়, সুস্থ ও কর্মক্ষম জীবনই সবার কাম্য।  বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বলছে, কিছু সহজ ও নিয়মিত অভ্যাস আয়ু বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খাওয়াদাওয়া, ঘুম, মানসিক স্বাস্থ্য ও দৈহিক সক্রিয়তা—এই চারটি ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণে রাখলে স্বাভাবিকভাবে দীর্ঘজীবী হওয়া সম্ভব। তাই কিছু অভ্যাস আয়ত্ত করুন, যেগুলো আয়ু বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত জরুরি।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন
“তোমার খাবারই তোমার ওষুধ” — এই প্রবাদ খুবই সত্যি। প্রতিদিনের খাবার ঠিকভাবে নির্বাচন করলেই রোগমুক্ত ও প্রাণবন্ত থাকে। প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার খান।তেল-চর্বি, লবণ ও চিনি কম পরিমাণে গ্রহণ করুন।
প্রক্রিয়াজাত খাবার (যেমন: ফাস্টফুড, কোল্ড ড্রিংকস, চিপস) পরিহার করুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন (প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস)। সুস্থ ও পরিমিত খাওয়া হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন
দৈনিক ৩০ মিনিটের হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়াম যেমন হাঁটা, দৌড়, সাইকেল চালানো, যোগব্যায়াম বা সাঁতার শরীরকে সুস্থ রাখে ও আয়ু বাড়ায়।ব্যায়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। কোলেস্টেরল ও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। মস্তিষ্ক সচল ও মন ভালো রাখে।অফিসে বসে কাজ করার ফাঁকে কিছুক্ষণ হাঁটার পরামর্শও দেওয়া হয়।

মানসিক চাপ কমান
অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটি হৃদরোগ, অনিদ্রা, উচ্চ রক্তচাপ ও ইমিউন দুর্বলতার কারণ হতে পারে। প্রতিদিন কিছু সময় ধ্যান বা মেডিটেশন করুন। প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকুন, হাঁটুন। পছন্দের কাজ যেমন গান শোনা, বই পড়া, ছবি আঁকুন। আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন। সুখী ও মানসিকভাবে শান্ত মানুষরা সাধারণত দীর্ঘজীবী হন।

পর্যাপ্ত ও গুণগত ঘুম
নিয়মিত ও শান্তিপূর্ণ ঘুম শরীরের কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ওঠা উচিত। ঘুমানোর আগে মোবাইল বা টিভি থেকে দূরে থাকুন। ঘর অন্ধকার ও ঠান্ডা রাখলে ঘুম ভালো হয়। ঘুম কম হলে মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ড ও হরমোন সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরতি
এই দুইটি অভ্যাস আয়ু হ্রাসের প্রধান কারণ। ধূমপান ফুসফুস ক্যানসার, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। মদ্যপান যকৃতের রোগ ও মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে। ধূমপান বন্ধ করলে শুধু নিজের নয়, আশেপাশের লোকদের জীবনও নিরাপদ থাকে।

সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখুন
বন্ধু, পরিবার ও সমাজের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করলে একাকীত্ব দূর হয় এবং মানসিক শক্তি বাড়ে।পারিবারের সঙ্গে সময় কাটান। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সৌহার্দ্য বজায় রাখুন। সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করুন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যারা একাকী থাকেন, তাদের আয়ু কমে যেতে পারে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
অনেক সময় শরীরে রোগ থাকলেও উপসর্গ দেখা দেয় না। তাই বছরে একবার রক্তচাপ, সুগার, কোলেস্টেরল পরীক্ষা করুন। ৪০ পেরোলেই নিয়মিত হৃৎপিণ্ড ও লিভার ফাংশন টেস্ট করুন। যেকোনো উপসর্গ উপেক্ষা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ ধরা পড়লে তা সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

Link copied!