ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের দুই স্ত্রী এখন আলোচনার শীর্ষে। যদিও শাকিব খান একাধিকবার সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীকে নিজের প্রাক্তন স্ত্রী বলেই দাবি করেছেন। তবে অপু-বুবলীর ক্ষেত্রে বরাবরই দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শবনম বুবলী ও ছেলে শেহজাদ খান বীরকে নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে নায়ককে। এর আগে অপু বিশ্বাস ও আব্রাম খান জয়কে নিয়ে মার্কিন মুলুকে সময় কাটিয়েছেন শাকিব খান। তখনই গুঞ্জন উঠে, অপুর সঙ্গে দূরত্ব ঘুচছে নায়কের। এবার সেই একই গুঞ্জন উঠেছে, বুবলীকে নিয়েও।
মার্কিন মুলুকে শাকিবের সঙ্গে বুবলীকে সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে দেখার পর ভক্তরা জানার অপেক্ষায় ছিলেন অপু বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া। বিষয়টি তিনি কিভাবে দেখছেন, জানতে চাওয়া সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে। তবে নায়িকা এ বিষয়ে যেন কোনো মন্তব্যই করতে চাইলেন না। তিনি বরং বললেন, ১৫ জুন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া স্ট্যাটাস দেখে নিতে।
যেই স্ট্যাটাসে অপু বিশ্বাস লিখেছিলেন, ‘প্রিয় ভক্ত-অনুরাগী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করছি, আমার ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্ত বা আমার ছেলের সাথে স্মরণীয় সময়গুলো যখন আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করি— তখনই কোনো না কোনোভাবে সেই বিষয়কে ঘিরে একধরনের অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।
এরপর অপু লেখেন, আমি একজন মা, একজন অভিনেত্রী, একজন উদ্যোক্তা। আমার অনেক দায়িত্ব, অনেক ব্যস্ততা। ক্যামেরার বাইরে আমার জীবনটা একজন নারীর মতোই— হাজারো কাজ, পরিকল্পনা, এবং স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলা।
অপু বিশ্বাসের স্পষ্ট বার্তা- আমি কাউকে কিছু প্রমাণ করতে চাই না। আমার সম্পর্ক, আমার জীবনের অধ্যায়গুলো দর্শকের চোখের সামনেই কেটেছে। সেখানে লুকোচুরি নেই, নাটক করার কিছু নেই। আমার ছেলের জন্য সময় দেই, তার বাবার সঙ্গে সুন্দর মুহূর্তগুলো ধরে রাখি—এটা সম্পূর্ণই ওর মানসিক বিকাশ ও সুন্দর শৈশবের জন্য। এটিকে ঘিরে কারো ‘অস্বস্তি’ তৈরি হলে, সেটার দায় আমার নয়।
আমি অনেকদিন ধরেই দেখছি, আমার কোনো সাধারণ পারিবারিক পোস্টের পরেই যেন কিছু 'কাউন্টার প্রচেষ্টা' শুরু হয়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—আমি সেই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেই।সম্মান নিজে অর্জন করতে হয়, অন্যকে ছোট করে নয়। এখন থেকে আমি শুধু নিজের কাজ, নিজের ছেলে, নিজের ভক্তদের সময় দিতে চাই।
কারো সাথে পাল্লা দেওয়ার জন্য আমি এখানে আসিনি। আমি নিজের জায়গাতেই স্বাচ্ছন্দ্যে আছি। যারা আমাকে ভালোবাসেন, পাশে থাকেন—আপনাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমি আপনাদের বিশ্বাস ভাঙতে চাই না। আর নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে কারো সঙ্গে পা মেলাতে রাজিও নই। ভালোবাসা অমলান থাকুক।’