• ঢাকা
  • শনিবার, ০৯ আগস্ট, ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৪ সফর ১৪৪৬

‘শুধু একটি ফেসবুক পোস্টের কারণে আমাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৫, ০৭:৩৯ এএম
‘শুধু একটি ফেসবুক পোস্টের কারণে আমাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে’
ড. নীলিমা আখতার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নীলিমা আখতারকে সব ধরনের একাডেমিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তে নিরপেক্ষ ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটিও গঠন করা হয়েছে। গত বছরের জুলাই আন্দোলনে ‘ফ্যাসিস্ট সহযোগী’ হিসেবে ভূমিকার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

জানা যায়, সম্প্রতি ড. নীলিমা আখতার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একাধিক পোস্টে অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘লাশের রাজনীতি’ করছেন।

একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের অনুসারীদের ‘মব সন্ত্রাস’-এর জন্য দায়ী করেছেন এই শিক্ষক।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তার ‘বিতর্কিত কর্মকাণ্ড’, ‘স্বৈরাচারের সহযোগী ভূমিকা’, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে ‘মব’ আখ্যা দেওয়া এবং ‘গণহত্যার পক্ষে অবস্থান’ নেওয়ার অভিযোগ এনে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ড. নীলিমা আখতারের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করার পাশাপাশি একাডেমিক কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে এটা হয়েছে। তবে তাকে সাসপেন্ড করা হয়নি, ডিসমিস বা বেতনও বন্ধ করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে (ড. নীলিমা আখতার)  একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ড. নীলিমা আখতার বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমাকে সব প্রশাসনিক ও একাডেমিক দায়িত্ব থেকে বিরত করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ কোনো প্রশাসনিক বা একাডেমিক অপরাধের ভিত্তিতে নেওয়া হয়নি। আমার অপরাধ আমি ফেসবুকে মত প্রকাশ করেছি! আমি ২০ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি! আমার বিরুদ্ধে কোনো দিন একটি ছোট্ট অভিযোগও ওঠেনি। শুধু একটি ফেসবুক পোস্টের কারণে আমাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।”

Link copied!